স্বপ্ন এক অলীক জগৎ, যেন আত্মার জানালা,
একটু উঁকি দিলেই সব কিছু দেখা যায়।
চাষি উঁকি দিয়ে দ্যাখে তার মাঠের সবুজ শস্য,তরতাজা ধানশিষ সোনালি রোদ্দুরে হাসে, গুনগুন গান গায়।
আলপথে মল পায়ে ঝুমঝুম হেঁটে যায়
ও পাড়ার জমিলা সুন্দরী, পরনে রঙিন শাড়ি, নাকেতে নোলক;
চাষির বুকের কোকিল কয়, কোনো চিন্তা নাই আর।
এই শস্য, এই নারী সকলই তোমার।
ভরা নদীর টানা স্রোতে পাল তুলে ছুটে চলে
পরান মাঝির নৌকা, তীর থেকে কেউ ডাকে, হাঁক দেয়,
‘ও মাঝি নিবা নি আমায়?
মাঝির উত্তর নাই, নৌকাতে ঠাঁই নাই,
স্বপ্নের বেসাত নিয়ে চলেছে সে অচিন বন্দরে-
পাল তোলা শঙ্খ চিল যেন উড়ে যায়।
নর্তকী নারীর মতো ঝাঁক-ঝাঁক রুপোলি ইলিশ
নদীর মিঠে জলে ঝলকায়, জেলে জাল টানে,
রোদে ঘামে পোড়া কালো মুখে তার স্বপ্ন খেলা করে,
চোখে ইলিশগন্ধা মনুবালার যুবতী শরীর।
কিন্তু এখন স্বপ্নের বড়োই আকাল
পুরাতন স্বপ্নগুলো, ইলিশের পেটি-খেয়ে গেছে
ডিজিটাল সোনালি বেড়াল।