শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রকৌশলী সুতপা বড়ুয়ার উদ্ভাবন

ফার্মাসিউটিক্যাল ফর্মুলেশন্স থেকে ক্ষতিকারক উপাদান অপসারণের বিশেষ ওষুধের প্যাটেন্ট

শনিবারের সকাল ডেস্ক

প্রকৌশলী সুতপা বড়ুয়ার উদ্ভাবন

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বহির্বিশ্বে সফলতার স্বক্ষর রেখে চলেছেন। তাদের হাত ধরে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হচ্ছে বার বার। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একজন বায়োকেমিক্যাল প্রকৌশলী ও সহকারী অধ্যাপক বাংলাদেশের মেয়ে সুতপা বড়ূয়া। পানি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ফর্মুলেশন্স থেকে ক্ষতিকারক উপাদান অপসারণের একটি উপায় উদ্ভাবন করেছেন বিশেষ এক ওষুধ। সেই সঙ্গে এই ওষুধ উদ্ভাবনের  প্যাটেন্ট করিয়েছেন নিজের নামেই। প্রতি বছর সারাবিশ্বে প্রায় আঠারো মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এন্ডোটক্সিন দ্বারা সৃষ্ট সেপসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে। যার মূল বাহক হলো ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়ার বহিঃত্বকের ঝিল্লি এই এন্ডোটক্সিন উৎপন্ন হয়। যুগান্তকারী প্রক্রিয়াটি গবেষণার মাধ্যমে প্রতিকারের পদ্ধতিটির উন্মেষ ঘটিয়েছেন মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির রাসায়নিক ও জৈব রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুতপা বড়ুয়া। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকারী সুতপা বড়ুয়া নিজের  যোগ্যতা ও কাজের জন্য সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অফিস থেকে ২৫ হাজার ডলার এবং মিসৌরি এসঅ্যান্ডটির উদ্ভাবন তহবিল থেকে দশ হাজার ডলার অনুদান গ্রহণ করেন, যা দ্বারা তিনি তার উদ্ভাবনকে হয়তো আরও সুদূরপ্রসারী করে তুলবেন। পেশাগত জীবনে উৎকর্ষ ও অনন্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে অর্জন করেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।

ড. সুতপা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা বিশেষায়িত পলিমারগুলো ক্যান্সারবিরোধী কাজে প্রয়োগ করেছিলাম। তাই আমাদের মনোযোগ ছিল মূলত সেদিকেই। পলিমারগুলো ছিল জৈব সামঞ্জস্য পরিপূর্ণ। মাত্র কয়েক মাইক্রোগ্রাম ন্যানোপার্টিক্যাল পরিমাণ পলিমারের সাহায্যে প্রতি মিলিমিটার পানি থেকে এক মিলিয়ন এন্ডোটক্সিন অপসারণ করা সম্ভব হয়। ২০১৬ সালের এক জার্মান নিবন্ধে 'এন্ডোটক্সিন হিচহাইকিং' হিসেবে প্রথম এই পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস করে একটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়।

সর্বশেষ খবর