শনিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চা বিক্রি করে ২৩ দেশ ঘুরে আসা দম্পতির গল্প...

শনিবারের সকাল ডেস্ক

চা বিক্রি করে ২৩ দেশ ঘুরে আসা দম্পতির গল্প...
বিদেশ ভ্রমণের বাতিক বিজয়নের। চায়ের ছোট্ট দোকানের আয় দিয়ে কি তাই বলে দেশ-বিদেশ ঘুরে আসা যায়? সেই প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে দিনে ৩০০ টাকা করে জমিয়ে বছরে ১ লাখ টাকা সঞ্চয় করেন তিনি। বউকে নিয়ে দিলেন ছুট! এভাবেই ঘুরে  ফেলেছেন ২৩ দেশ!

 

বুড়ো বয়সের ভিমরতি বলতে পারেন অনেকে। তবে তাতে থোরাই কেয়ার বিজয়নের। বউকে নিয়ে চায়ের দোকান চালান। সেই দোকানের কর্মচারী তারাই। বাড়তি বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার আয়েশ তাদের নেই। কারণ একটাই- বিদেশ ভ্রমণ। পায়ের নিচে শর্ষে হলে যা হয় আরকি। চায়ের দোকানের যে আয় হয় সেখান থেকে যে করেই হোক ৩০০ টাকা আলাদা করে রাখেন বিজয়ন। ভারতের কোচিতে ৫০ বছর ধরে বসবাস বিজয়নের। বয়স সত্তরে ঠেকলেও হিসাবটা ভালোই জানেন। দিনে দিনে জমান টাকা লাখ ছুঁলেই দেন ছুট। সঙ্গী তার স্ত্রী। একে একে ঘুরে এসেছেন সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনা, পেরুসহ প্রায় ২৩টি দেশ। চা বিক্রেতা দম্পতির ২৩ দেশ ঘুরে আসার খবর মিডিয়াতে ভালোই চাউর হলো। চা বিক্রি শুরু করেন ১৯৬৩ সাল থেকে। প্রথমে কোচির রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেন বিজয়ন। চা বিক্রি ভালোই বাড়তে থাকে তাদের। ক্রেতা বাড়তে থাকায় সঞ্চয়ের দিকে মন দেন। চাইলে ব্যবসা বাড়াতে পারতেন কিন্তু ভ্রমণের বাতিক থাকায় টাকা খরচ করতে লাগলেন দেশ-বিদেশ ভ্রমণে। কোচিতে তার দোকানটা স্থায়ী হয়ে গেল। সেখানে এক নামেই সবাই চেনে তার দোকান। বিদেশ ভ্রমণের নেশা তার মাথায় আসে তার দোকানে চা খেতে আসা মানুষের মুখে গল্প শুনে। স্ত্রীও স্বামীর দেশ ভ্রমণের নেশায় না করেননি। সঙ্গী হয়েছেন তিনিও। বিজয়ন স্ত্রীকে নিয়ে বেড়িয়েছেন সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, আমেরিকা। এখন টাকা জমাচ্ছেন, সুইডেন, ডেনমার্ক,  নেদারল্যান্ডস, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে যাবেন বলে। চা বিক্রির আয় দিয়ে এতগুলো দেশ ঘুরে এসেছেন বলে অনেকেই নাকি বিশ্বাস করতে চান না। বিজয়ন অবশ্য তাদের অবিশ্বাস ভাঙাতে ভারতীয় মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। বিজয়ন জানান, আমার দোকানে  রোজ ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাহক আসেন। বিজয়ন ও তার স্ত্রী মোহনা শুধুমাত্র বিদেশ ভ্রমণ খাতে দৈনিক ৩০০ টাকা করে জমিয়ে বছরে ১ লাখ টাকা সঞ্চয় হয়। সেই টাকা দিয়ে বিদেশ ঘুরে আসেন এই দম্পতি।

সর্বশেষ খবর