শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাশেদের তুরস্ক জয়

শনিবারের সকাল ডেস্ক

রাশেদের তুরস্ক জয়

বাংলাদেশি তরুণ সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী; বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা এক পরিচিত মুখ। বার বার আলোচনায় আসা এই তরুণ এবার দেখালেন নতুন চমক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের কাছ থেকে গ্রহণ করেন ‘মোস্ট সাকসেসফুল স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ (এন বাসারলি ওরেঞ্জি অদুলো)। ১৭৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম এবং পতাকা তুলে ধরেন বিশ্ব দরবারে। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক সিজিপিএ (৪) পেয়ে রাশেদ সেরা শিক্ষার্থী মনোনীত হন। এটি তুরস্কে অধ্যয়নরত প্রথম কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ অর্জন।

 

ক্যারিয়ারের নানা অর্জন

বাংলাদেশি তরুণ সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী তার অনন্য মেধায় বিশ্ব দরবারে জন্মভূমিকে বার বার উপস্থাপন করে আসছেন। কখনো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করে, কখনো বাংলাদেশের হয়ে জার্মান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে, আবার কখনো বা আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা করে। বাংলাদেশের কৃতীসন্তান সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে ডিন’স মেরিট লিস্ট অব অনার ও ডিন’স মেরিট লিস্ট অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পান। এরপর ২০১৬ সালে তুরস্কের সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। তিনি আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার প্রথম পর্বে ফ্যাকাল্টিতে প্রথম স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়ে দেন। ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের খিরশেহিরে ‘ওসমানি সালতানাতের ধর্মীয় ও সংস্কৃতি শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকও অর্জন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তার গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে তুরস্ক, ব্রিটেন, জার্মানি, সাইপ্রাস, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির বিভিন্ন জার্নালে। এ ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও নিজের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশি এই কৃতী সন্তান।

 

বিশাল অর্জনের পেছনের শক্তি

বাংলাদেশের সুনাম বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সে সাফল্যের পালকে সাম্প্রতিককালে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরীর সাফল্যের পেছনে গল্পটা শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলেন, তা বাস্তবে রূপদান করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ অবলম্বন করেন রাশেদ। আর ঢাবি’র অ্যাওয়ার্ডগুলোই তার সাফ্যল্যের পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ১৮২ দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেন। অনেক সহপাঠী বাংলাদেশকে চিনত না, তারা দেশটিকে আফ্রিকান দেশ মনে করত। তখন রাশেদ তাদের মানচিত্র দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতেন। রাশেদের অনুপ্রেরণার মূল কারিগর তার বাবা-মা। রাশেদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আব্বু-আম্মু অনেক উৎসাহ দিতেন। আব্বু প্রিন্সিপাল হওয়ায় সব সময় অনেক বড় স্বপ্ন দেখাতেন। আর বলতেন পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। আব্বুর অনুপ্রেরণা আমাকে এ পর্যন্ত আসতে সাহায্য করেছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর