শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্লি-বায়োতে চমক

শেকৃবি প্রতিনিধি

ক্লি-বায়োতে চমক

আগ্রহ এখন রাসায়নিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদিত খাবারের (অর্গানিক ফুড) দিকে। জাপানি অ্যাকুয়া কোম্পানি লিমিটেড ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) যৌথ উদ্যোগে ‘ক্লি-বায়ো হর্টিকালচার’ নামক এক জৈব প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন শেকৃবির একদল গবেষক। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসলের বালাই দমনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন নিরাপদ ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে সঙ্গে বাড়বে ফসলের ফলন মাত্রাও। সংশ্লিষ্ট গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘কীট-পতঙ্গ বংশবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় ফসল টিকিয়ে রাখতে এখানে রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহার বেশি। আর এসব বালাইনাশক প্রয়োগে ফসলে এর ক্ষতিকর বাড়তি প্রভাব (রেসিজুয়াল ইফেক্ট) বেশি দিন থাকে বিধায় সেসব ফসল গ্রহণে কিছুটা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু ক্লি-বায়ো কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এনজাইমের সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় ফসলে ক্লি-বায়ো প্রয়োগে স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়।’ পুরো গবেষণায় সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন এখানকারই শিক্ষার্থী রাকিবুজ্জামান মনি। তিনি বলেন, ‘ফসলের বেলায় মাটিবাহিত রোগগুলো দমন করা কষ্টসাধ্য হলেও আমাদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ক্লি-বায়ো এক্ষেত্রে শক্ত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা রাখে।’ ড. জামাল আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারে শসা, লালশাক, পুঁইশাক ও নন্দিনী ফুল এবং কাশিমপুরের বিএডিসি খামারে কলা গাছে ক্লি-বায়ো প্রয়োগ করে ফসল ফলিয়েছি। এতে দেখা যায় শুধুমাত্র বালাই দমনে নয় ফসলের উৎপাদন মাত্রাতেও এর প্রভাব ঈর্ষণীয়।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর