শিরোনাম
শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
গবেষণা

হাবিপ্রবিতে কৃত্রিম প্রজননে বিলুপ্তপ্রায় মুরগি

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে

হাবিপ্রবিতে কৃত্রিম প্রজননে বিলুপ্তপ্রায় মুরগি

ব্রাহ্মা জাতের মুরগি প্রায় বিলুপ্ত বলা চলে। এই ব্রাহ্মা জাতের মুরগির বংশবিস্তার করে বিলুপ্তির হাত থেকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংরক্ষণাবেক্ষণ করার  চেষ্টা করছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ব্রিডিং বিভাগ’।

বাংলাদেশে আবহাওয়াতে এদের বাণিজ্যিকভাবে পালন সম্ভব। সাধারণ মুরগির চেয়ে আকারে বড় ব্রাহ্মা মুরগি। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ব্রাহ্মা মুরগি জনপ্রিয় মাংস হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। এদেশেও এ মুরগি চাষ করা যাবে। কারণ ব্রাহ্মা মুরগি গরম বা ঠা-া যে কোনো আবহাওয়াতে সাবলীল থাকে। সাধারণত এদের গড় ওজন হয় মোরগ ৫.৫ কেজি এবং মুরগি ৪.৫ কেজি। ব্রাহ্মা মুরগির ডিম সাধারণ মুরগির থেকে বড় এবং বাদামি রঙের হয়। ডিমের গড় ওজন হয় ৫৫-৬০ গ্রাম।

হাবিপ্রবিতে গবেষণারত পিএইডি ফেলো ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, হাবিপ্রবিতে যেসব জাতের মুরগি রাখা আছে, এদের মূলত কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংরক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর ব্রাহ্মা জাতের মুরগি আমাদের দেশে বিলুপ্তির পথে। এ কারণে আমরা বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি ব্রাহ্মা মুরগি। সাধারণত ৩টি রঙের ব্রাহ্মা মুরগি দেখা যায়। সাদা, ধূসর ও সোনালি। সাদা ব্রাহ্মার শরীরের বেশির ভাগ অংশ সাদা হয়। ঘাড় থেকে পিঠ পর্যন্ত কালো ছোপ ছোপ থাকে এবং লেজের অংশ কালো হয়। ধূসর রঙের ব্রাহ্মা মুরগি পুরো শরীরটা ধূসর বা কিছুটা ছাই রঙের হয়ে থাকে। মাথা থেকে গলা পর্যন্ত সাদা রঙের হয়। লেজের শেষ অংশ কালো রঙের হয়। সোনালি রঙের ব্রাহ্মা পুরো শরীরটা সোনালি রঙের। ঘাড় থেকে গলা পর্যন্ত কালো ছোপ ছোপ এবং লেজের শেষ অংশ কালো হয়। হাবিপ্রবির এ বিষয়ের প্রধান গবেষক ও জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল গাফফার মিয়া জানান, ব্রাহ্মা সাধারণ মুরগি থেকে অনেকটা বড় প্রজাতির মুরগি। গত ২০১৮ সালে নেদারল্যান্ডসে গেলে সেখানে এক ডেইরি ফার্ম থেকে ৪টি ব্রাহ্মা মুরগির ডিম উপহার হিসেবে দেয়। পরে সেই ডিম থেকে ২টি বাচ্চা পাই। আর এই দুটি ব্রাহ্মা মুরগির একটি মোরগ মারা যায়। এখানে ‘আসিল’ জাতের মোরগের সিমেন্স ব্যবহার করে ব্রাহ্মা মুরগির তিনটি ডিম পাওয়া যায়। ডিম তিনটি বাচ্চা ফুটানো হয়েছে। কিছু প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ব্রাহ্মা প্রায় ৮ কেজির মতো হয়, আর প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী মুরগি ৬ কেজি হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এদের গড় ওজন হয় মোরগ ৫.৫ কেজি এবং মুরগি ৪.৫ কেজি। ব্রাহ্মা মুরগির ডিম সাধারণ মুরগির থেকে বড় এবং বাদামি রঙের হয়। ডিমের গড় ওজন হয় ৫৫-৬০ গ্রাম। উল্লেখ্য, আমেরিকান ব্রাহ্মা মুরগির জাত। চীনের ব্রাহ্মা থেকেও আমেরিকার ব্রাহ্মা আকারে এবং ওজনে বড় হয়ে থাকে। ১৯৫০ সালে ব্রাহ্মা মুরগিকে আমেরিকার অন্যতম মাংসের জোগানদাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

সর্বশেষ খবর