শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বায়ুদূষণ রোধে নানা দেশে নানা উদ্যোগ

বায়ুদূষণ রোধে নানা দেশে নানা উদ্যোগ

চীনে হাঁটার জন্য সহজ পথ

চীনের বড় বড় শহরগুলো বায়ুদূষণের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে, যাতে আবাসিক এলাকায় মানুষ যানবাহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সহজে হাঁটাচলা করতে পারে। এই পরিকল্পনার আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ রাস্তা গাড়িমুক্ত করার চিন্তা করছে তারা। চীন এখন পর্যন্ত ৩০০টি ইকো-শহর নির্মাণ করেছে।

কলম্বিয়ায় গাড়িবিহীন দিন

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বাস পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ১৯৭৪ থেকে  শহরের মেয়রের নির্দেশ সপ্তাহে ১ দিন ১২০ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো গাড়ি চলবে না। পাশাপাশি শহর কর্তৃপক্ষ কয়েকশ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণ করছে। ফলে গাড়িবিহীন দিনগুলোতে সাইকেল আরোহীদের সংখ্যা বাড়বে।

 

ভারতে বৈদ্যুতিক রিকশা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ক্রমাগত বাড়ছে বায়ুদূষণ। বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে নয়াদিল্লি। আর সেখান থেকে বাঁচতে ভারতে চালু হলো বৈদ্যুতিক রিকশা। এই ইলেকট্রিক রিকশা এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ রোধে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ নতুন সব বাহন হবে বিদ্যুৎচালিত এবং রাজধানীতে গ্যাসচালিত যান নিষিদ্ধ করা হবে।

মেক্সিকোর নতুন পরিকল্পনা

বায়ুদূষণ রোধে যে দেশগুলোর রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা এর মধ্যে মেক্সিকো অন্যতম একটি দেশ। বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলোর একটি হলো মেক্সিকো সিটি। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ২০২৫ সাল নাগাদ সব ধরনের ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধের অঙ্গীকার করেছে শহরটি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গাড়ি  নির্ভরতা কমছে

দক্ষিণ কোরিয়ার শহর ইনচেনে গাড়ির তুলনায় সাইকেল চালকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। গণপরিবহনের পাশাপাশি যাতে বিপুল সংখ্যক সাইকেল নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেজন্য এই এলাকার রাস্তাগুলোকে চওড়া করা হয়েছে। আবাসিক এলাকার ভবনগুলো এমন দূরত্বে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে হেঁটে যাওয়া যায়। ২০২০ সালেই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শহরের নির্মাণকাজ শেষ হবে।

সর্বশেষ খবর