শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
উদ্যোগ

বন্ধুর স্মরণে সৈকতপাড়ে ম্যারাথন

বন্ধুর স্মরণে সৈকতপাড়ে ম্যারাথন

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদকে স্মরণ করে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে তৃতীয়বারের মতো একক ম্যারাথন করেছেন গাজী মুনছুর আজিজ

 

ঘড়ির কাঁটা তখন ৬টা ৭ মিনিট। দিনটি ২৯ অক্টোবর। কক্সবাজারের পূর্ব আকাশে তখনো সূর্য দেখা যায়নি। ঠিক তখনই লাবণী সৈকত পয়েন্ট থেকে ম্যারাথন শুরু করি। এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে এটি আমার তৃতীয়বাবের মতো একক ম্যারাথন। অল্প সময়ে সুগন্ধা সৈকত পয়েন্ট, কলাতলীর ডলফিন মোড় পার হয়ে উঠি মেরিন ড্রাইভে। এরপর হ্যাচারি জোন, দরিয়ানগর ইকোপার্ক হয়ে এগোই। ততক্ষণে সূর্য আলো ছড়াতে শুরু করেছে।

 

দরিয়ানগর থেকে রামু উপজেলার শুরু। এ ছাড়া এখান থেকে মেরিন ড্রাইভের আসল সৌন্দর্য উপভোগের জায়গাও শুরু। অর্থাৎ পথের পূর্ব পাশে অরণ্যঘেরা পাহাড় আর পশ্চিমে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এরই মাঝে পিচঢালা পথ। এ পথের পোশাকি নামÑমেরিন ড্রাইভ। এ মেরিন ড্রাইভ থেকে দুই পাশের সৌন্দর্য উপভোগ সত্যিই অসাধারণ। এ অসাধারণ বিষয়টিকে দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে তুলে ধরতে সজল বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের ব্যানারে এ পথে ২০০৮ সালে প্রথমবার ‘বাংলা ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা করেন। সে লক্ষ্যে ২০০৯ ও ২০১০ সালেও তার উদ্যোগে ও এক্সট্রিমিস্টের আয়োজনে এ পথে ম্যারাথন হয়। তিনবারের ম্যারাথনেই আমি অংশ নিই ও সফলভাবে সম্পন্ন করি। ২০১৩ সালে এভারেস্ট জয় করে সজল এভারেস্টের কোলেই ঘুমিয়ে পড়েন অনন্তকালের জন্য। এরপর আর এ পথে বাংলা ম্যারাথন হয়নি। সজলের সেই ধারাবাহিকতায় আমার এ ম্যারাথন। আমার উদ্দেশ্য- মেরিন ড্রাইভে ম্যারাথনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ, পর্যটনের উন্নয়ন এবং সৈকত ও সৈকতপাড়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রচারণা। মেরিন ড্রাইভে সজলের হাত ধরে ম্যারাথন শুরু। এরপর এ পথে একাধিক ম্যরাথন করেছি। এ ড্রাইভ হয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ একাধিক সাইকেল অভিযান করেছি। আর কক্সবাজার বেড়াতে এসে এ ড্রাইভে আসিনি, এমন কখনো হয়নি। তাই এ ড্রাইভ শুধু পরিচিত নয়, অনেক ভালো লাগার স্থান।

সর্বশেষ খবর