তরমুজের ভিতরের অংশ লাল থাকে। তবে এবার উদ্ভাবিত হলো ভিতরে হলুদ রঙের তরমুজ। তরমুজের এই জাতটিসহ দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। উদ্ভাবিত দুই জাতের তরমুজের ফলন, আকৃতি, স্বাদ প্রচলিত জাপানি সংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভিতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভিতরে টকটকে লাল। শিগগিরই এ জাত দুটি নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানান তারা। বারির মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, জাত দুটির অনুমোদনের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় বীজ বোর্ডে আবেদন করা হবে। পেটেন্ট অনুমোদন পেলেই মাঠপর্যায়ে কৃষকের মধ্যে সারা বছর চাষ ও বীজ সংরক্ষণ করা যায়, এমন জাত দুটি পৌঁছে দেওয়া হবে। বারির সবজি বিভাগ এবং আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র লেবুখালী পটুয়াখালীর যৌথ উদ্যোগে এ দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়। এই তরমুজগুলো ৮০-৯০ দিনের মধ্যে খাবারের উপযোগী হয়। এই জাতটি সম্পূর্ণ নিজস্ব বলে জানান বিজ্ঞানীরা। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে বিদেশি জাতের তরমুজের বীজ কিনে আনা হয়। বারি তরমুজ থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। এ ছাড়াও এগুলো জাপানি তরমুজের জাতগুলোর চেয়ে বেশি উন্নত। হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।