শিরোনাম
শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নীলফামারীতে গোপীনাথের ফুলবাগান

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে গোপীনাথের ফুলবাগান

নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজিসহ ঔষধি গাছের সংগ্রহশালা (নার্সারি) হওয়ায় সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটে অসংখ্য বৃক্ষপ্রেমীর ভিড়। কেউ বিনোদনের খোরাক মেটাতে আসছেন, কেউ আসছেন ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা নার্সারি দেখতে...

 

পৃথিবীতে ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া ভার। বাড়ির উঠানজুড়ে নানা ঔষধি চারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা সংরক্ষণ করে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন নীলফামারী কিশোরগঞ্জের কৃষক গোপীনাথ রায়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সেই বৃক্ষ ভান্ডারে এসে বিভিন্ন চারা সংগ্রহ করছেন। ৫০টি জাতের ফুল দিয়ে শুরু করা এই বাগানে এখন ফুল ফুটছে হাজারো প্রজাতির। ফুলের পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা শিল্পকর্ম। গাঁদা, রজনীগন্ধা, অ্যালামুন্ডা, মোরগ, নীলপদ্ম, সাদা পদ্মসহ কয়েকশ জাতের ফুল উৎপাদন হচ্ছে এখানে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার বনচন্ডি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামে নিজ বাড়ির উঠানে কৃষক গোপীনাথ রায় ১৪ শতক জমির ওপর বাণিজ্যিকভাবে গাছের চারা বিক্রি শুরু করেন। এক বছরের মধ্যে আর্থিকভাবে সফলতার মুখ দেখায়, তা এখন দাঁড়িয়েছে ৫ বিঘার ওপরে। সেখানে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে গাছের চারা। নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজিসহ ঔষধি গাছের চারা সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ নার্সারি হওয়ায় সেখানে প্রতিনিয়ত অসংখ্য বৃক্ষপ্রেমীর ভিড়। কেউ কেউ বিনোদনের খোরাক মেটাতেও ছুটে আসছেন ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা নার্সারিটি এক নজর দেখতে। ক্রয় করছেন পছন্দের চারা গাছ। তবে নার্সারির মালিক গোপীনাথ রায় বলেছেন, সরকারি বা বেসরকারিভাবে আর্থিক ঋণ সুবিধা পেলে ব্যক্তিগত উদ্যোগের এই নার্সারি হতে পারে কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। হতে পারে উত্তর জনপদে গোপী পার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠানও। এখন শুধু সহযোগিতা পেলেই গোপী নার্সারি যেমন হতে পারে বৃক্ষ চারা রোপণের ভান্ডার তেমনি কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলেও মনে করেন দর্শনার্থীরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপজেলা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সার্বিক সহযোগিতা করা হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এমন ব্যক্তি উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

 

 

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর