শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
চার বাংলাদেশি তরুণের কীর্তি

তারা জাতিসংঘের নায়ক

শনিবারের সকাল ডেস্ক

তারা জাতিসংঘের নায়ক

মানবিক কাজের জন্য তিন বাংলাদেশি তরুণ এবং এক তরুণীকে ‘রিয়েল লাইফ হিরোর স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। তারা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত, ব্র্যাকের প্রকৌশলী রিজভী হাসান, অনুবাদক সিফাত নুর ও আঁখি। গত ১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে তাদের মানবিক কাজে অনুপ্রেরণা জোগাতে জাতিসংঘ এই চার তরুণকে বিশেষ স্বীকৃতি দেয়। তাদের প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, করোনাকালে তানভীর হাসান সৈকত মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় সৈকত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো ব্যাগ এবং ব্যাগেজ নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েননি। বরং তিনি প্রান্তিক মানুষদের সাহায্য করার কথা ভেবেছিলেন এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। বাস্তব জীবনের নায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আরেক বাংলাদেশি আঁখি। আঁখিকে পুনর্বাসনে সহায়তা দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। বয়সের কারণে তাকে স্কুলে ফেরানো না গেলেও তাকে দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে তাকে দেওয়া হয় একটি সেলাই মেশিন আর কিছু কাপড়। সেখান থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজেই গার্মেন্ট কারখানা গড়ে তোলার। এদিকে করোনাকালে মাস্ক তৈরি করেন তিনি এবং কম দামে স্থানীয় দরিদ্রের কাছে এসব মাস্ক বিক্রি করেন। রিজভী হাসান ব্র্যাকে যুক্ত হন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের কাজ পান তিনি। সেখানে তিনি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় আক্রান্ত নারীদের সেবা প্রদানের জন্য স্বল্প খরচে নিরাপদ স্থান গড়ে তোলা শুরু করেন। এসব স্থানে রোহিঙ্গা শিবিরের নারীদের কাউন্সেলিংসহ নানা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমী এসব স্থাপনার মাধ্যমে বহু নারীকে নিরাপদে সেবা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যেতে পারছে ব্র্যাক ও ইউনিসেফ। অনুবাদের কাজ করে স্বীকৃতি পেয়েছেন সিফাত নুর। জাতিসংঘ মনে করে যে কোনো সংকটের সময়ে খাবার, পানি ও আশ্রয়ের মতোই মানুষের দরকার পড়ে তথ্য ও যোগাযোগের। সিফাত জটিল, জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাংলায় অনুবাদ করেছেন। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর