বিশ্বের তৃতীয় ধনী ইলন মাস্কের টেসলাতে যোগ দিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক ছাত্র শুভ দাশ। বহুজাতিক ওই কোম্পানিটিতে তিনি এনার্জি সিস্টেম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করবেন। পৃথিবী সেরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যে কারও জন্যই রীতিমতো স্বপ্নের। সেই স্বপ্নই এখন পূরণ হয়েছে চুয়েটের ছাত্র শুভর। শুভ দাশ তড়িৎকৌশল বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম সরকারি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। ২০১৭ সালে চুয়েট থেকে স্নাতক শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পরের বছরের আগস্টে মাস্টার্স শুরু করেন জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে। ওই ইউনিভার্সিটির রিসার্চ সিম্পোজিয়ামে ড. রামি হাদ্দাদের অধীনে শুভর রিসার্চ ‘জর্জিয়া পাওয়ার ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। টেসলায় যোগ দেওয়ার আগের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শুভ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, টেসলায় যোগদানের পুরো জার্নিতেই আমাদের চুয়েটেরই বড় আপু অনন্যা নাগ আমাকে গাইড করেছেন। মাস্টার্স শেষের পর ইন্ডাস্ট্রিয়াল অভিজ্ঞতা না থাকায় জবের জন্য অ্যাপ্লাই, রিজেকশন আর হতাশা এসবের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেই সময়টায় বটবৃক্ষের মতো কিছু মানুষ আমাকে অনুপ্রেরণা ও পথ দেখাচ্ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই এক দিন টেসলার চান্সটা চলে আসে। অ্যাপ্লাইয়ের পর কল না পেয়ে আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ এক দিন কল পেলাম। জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে আমার গবেষণা ছিল স্মার্ট রিনিউয়েবল এনার্জি ইন্টিগ্রেশন নিয়ে। পুরো গবেষণার জার্নিতে, অন গ্রিড-অব গ্রিড পিভি সিস্টেম ডিজাইনিং, সিগন্যাল প্রসেসিং, মেশিন লার্নিং এসব বিষয় শিখতে পেরেছিলাম। এই শেখাটাই তার ভিত্তি গড়ে দিয়েছে টেসলায় কাজ করার ক্ষেত্রে।