শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রোবট কারিগর চার তরুণী

শনিবারের সকাল ডেস্ক

রোবট কারিগর চার তরুণী

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রী ৪০ হাজার টাকায় নির্মাণ করেছেন মানব রোবট। এ রোবট হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে, এমন ধারণা উদ্ভাবকদের। রোগীর দেহের তাপমাত্রা মাপা, রোগীর তথ্য ডাক্তারের কাছে পৌঁছে দেওয়া, নার্সের কাজসহ অফিস রিসিপশনিস্টের কার্যক্রম পালনে সক্ষম এ উদ্ভাবন। এতে ব্লুটুথ প্রযুক্তি থাকায় অনলাইন ও অফলাইন কার্যকলাপে সমান পারদর্শী। এই ধরনের কাজ এর আগে কখনো হয়নি।  বাংলাদেশের তরুণরা রোবট বানানোয় পারদর্শী হয়ে উঠছে দিন দিন। যা সত্যিই খুব আশাব্যঞ্জক। আট মাসে নির্মিত রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাভওয়ার (অ্যাডভান্স বাইপিডাল ওয়ার্কিং হিউমানয়েড রোবট)। নিজ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রজেক্টের আওতায় রোবট অ্যাভওয়ার উদ্ভাবক কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন-দুর্গা প্রামাণিক (দলনেতা), মৌসুমি কণা, সুমনা আক্তার ও আফরিন আহমেদ বৃষ্টি। তারা বিভাগের সহকারী প্রভাষক শেলিয়া রহমান (সুপারভাইজার) ও প্রভাষক রোয়িনা আফরোজ অ্যানি (কো-সুপারভাইজার) অধীনে এই বছরের ২৫ জানুয়ারি রোবট তৈরির কাজ শুরু করেন।

দুর্গা প্রামাণিক ও মৌসুমি কণা বলেন, আমাদের বিভাগে পূর্বে নির্মিত রোবট মিরা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। মিরা রোবটের পা ছিল না। তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট তৈরি করার। শেষমেশ আমরা তা করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও আশাবাদী। মানব রোবট নির্মাণের পেছনের গল্প সম্বন্ধে মৌসুমি কণা বলেন, প্রথম দিকে করোনা তা-বে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ি। হার্ডওয়্যার কিনতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলাম না। ইন্টারনেটও প্রচুর ঝামেলা করত। রোবট তৈরির কাজ থেমে গিয়েছিল। কিছু দিন পরে আমরা আবার শুরু করি। দুর্গা ও মৌসুমি বলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট তৈরির চর্চা শুরু করি আমরা ২০১৯ সালে। অ্যাভওয়ার রোবটে হার্ট সেন্সর, সার্ভো মোটর, স্পিকার, ডিসপ্লে ব্যবহার করেছি। রোবটটিতে পা থাকার কারণে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, ভবিষ্যতেও পাব। বাণিজ্যিকভাবে এখনো আমরা এগোয়নি। কারণ আমাদের রোবটটি আরও উন্নত করার ইচ্ছা আছে।

                  

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর