শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

থাই লেবুতে ভাগ্য ফিরল মামুনুরের

মাস্টার্স পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে আম-লিচুর বাগান করেন মামুনুর রশীদ। তাতে কাক্সিক্ষত লাভ না পেয়ে থাই লেবু চাষ শুরু করেন...

রিয়াজুল ইসলাম

থাই লেবুতে ভাগ্য ফিরল মামুনুরের

চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই চাকরি দেবেন- এমন প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন মামুনুর রশীদ। থাই জাতের লেবুর বাগান করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। করোনাকালীন ব্যাপক চাহিদা, ফলনও বেশি থাকায় তিনি লাভবান হয়েছেন। লেবু চাষের পাশাপাশি কলম চারাও বিক্রি করছেন মামুনুর রশীদ। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে মাস্টার্স পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে আম-লিচুর বাগান করেন। কাক্সিক্ষত সাফল্য না পেয়ে আম-লিচু বাদ দিয়ে থাই লেবু চাষ শুরু করেন। সারা বছর লেবুর ভালো চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন মামুনুর রশীদ। তাঁর সাফল্য দেখে অনেকেই লেবু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বেপারিটোলা গ্রামের মামুনুর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ৫৫০টি থাই এবং ১ হাজার ১৫০টি দেশীয় জাতের লেবুর চারা লাগিয়েছেন। গত দুই বছরে তাঁর বাগানে লেবুর ফলন শুরু হওয়ায় বিক্রিও করছেন। চাহিদা থাকায় ইতিমধ্যে গাছের কলম তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। মামুনুর রশীদ জানান, ২০০৬ সালে মাস্টার্স শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে সাত বিঘা জমিতে আম-লিচুর বাগান করি। কিন্তু লাভের মুখ না দেখে বিকল্প চিন্তা হিসেবে বাগানে ১০০টির মতো লেবু গাছ লাগাই। পরে ইউটিউবে লেবু চাষের সাফল্য দেখে লেবুর বাগান করার সিদ্ধান্ত নেই। সারা বছর লেবু ধরবে, তা থেকে যেন গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। খোঁজাখুঁজির পর যশোরের বেনাপোল থেকে থাই জাতের লেবুর খোঁজ পাই এবং চারা সংগ্রহ করি। পাঁচ বছর আগে আম-লিচুর গাছগুলো কেটে সেখানে লেবুর বাগান করি। অনেকে এতে নানা ভর্ৎসনা করছিলেন। এখন লেবুর বাগানে ফলন এবং লাভ দেখে সবাই প্রশংসা করছেন। বর্তমানে এ বাগান থেকে উৎপাদিত লেবু বিক্রি করে বছরে ৩-৪ লাখ টাকা আয় হয়। পাশাপাশি কলম চারা বিক্রি করেছেন। প্রতি বছর ৩-৪ লাখ টাকার কলম চারা বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর