শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঐতিহাসিক তিন গম্বুজ মসজিদ ও মঠ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ঐতিহাসিক তিন গম্বুজ মসজিদ ও মঠ

ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরা উত্তরের জেলা নওগাঁ। এই জেলার ১১টি উপজেলায়ই রয়েছে কোনো না কোনো সময়ের ঐতিহ্য। আর সেসব ঐতিহ্য ও নিদর্শনগুলো দীর্ঘদিন মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। তারই একটি নিদর্শন মুঘল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি নওগাঁর আত্রাইয়ের তিন গম্বুজ ও মঠ। যা বর্তমানে মেরামত ও সংস্কারের অভাবে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।

জানা গেছে, পুরনো এই মসজিদ ও মঠের স্থাপত্যরীতিতে মুঘল ভাবধারার ছাপ সুস্পষ্ট। সৃষ্টি আর ধ্বংসে এগিয়ে চলছে পৃথিবী। কেউ সৃষ্টিতে আবার কেউ ধ্বংসের খেলায় মাতিয়ে উঠেছে। আবার কারও দায়িত্বহীনতার কারণে কালের গহ্বরে সমাহিত হচ্ছে ঐতিহাসিক অতীত। আমরা বাঙালি, আমাদের রয়েছে সোনালি ঐতিহাসিক অতীত। বাংলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন। এসব ছড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান আমাদের সত্তায় আলোড়ন জাগায়। তেমনি আলোড়ন জাগানো ঐতিহাসিক অতীত বহুল স্থান আত্রাই উপজেলার ইসলামগাঁথী গ্রামে অবস্থিত তিন গম্বুজ মসজিদ ও মঠ। উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বদিকে ঐতিহাসিক গুড়নদীর তীরে গ্রামটি অবস্থিত। বিশা ইউনিয়নের জনসংখ্যার দিক দিয়ে একটি বড় গ্রাম এটি। এ গ্রামে রয়েছে শত শত বছর পূর্বের স্থাপনা কারুকার্য খচিত তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন একটি মঠ। আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুঘল সম্রাটের শাসনামলে নির্মিত এ কীর্তি। জনশ্রুতি রয়েছে, রাতারাতি নাকি হঠাৎ করে গড়ে ওঠে এ মসজিদ ও মঠ। তবে এ প্রজন্মে অনেকে তা বিশ^াস করতে রাজি নয়। আরও জানা যায়, ওই গ্রাম একসময় নিভৃত পল্লীর একটি জনবসতি ছিল। একসময় নৌকার বিকল্প কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। সে সময় আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে গড়ে ওঠে এখানে তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ। মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ৪০ ফুট উঁচু চার স্তরের একটি মঠও নির্মাণ করা হয়। মঠটিতে খোদাই করে অঙ্কন করা হয় বিভিন্ন প্রাণীর ছবি।  একসময় এ মঠ এলাকাবাসীর কল্যাণের জন্য বিশ^কর্মার পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ধারণা করে তাতে বিভিন্ন ধরনের মানত করা হতো।

সর্বশেষ খবর