শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশের মাটিতে চাইনিজ কমলা

আসাদের সাফল্য

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

দেশের মাটিতে চাইনিজ কমলা

দেশের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে সুমিষ্ট চাইনিজ জাতের কমলা চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত তরুণও আছেন। তাদেরই একজন জীবননগরের তরুণ চাষি মো. আসাদুজ্জামান। তার এ সাফল্যের গল্প শুনতে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে আগ্রহী চাষিরা ছুটে আসছেন তার কাছে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. আসাদুজ্জামানের কমলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট ছোট কমলা। চকচকে কমলা রঙের এ ফল দেখে যে কেউই অবাক হবেন। কারণ চীন থেকে আমদানি করা ছোট জাতের যে কমলা আমাদের বাজারে পাওয়া যায়, সেই কমলাই এখন দেশের মাটিতে চাষ হচ্ছে।

এ কমলা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু ও সুমিষ্ট।

মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালে নিজের চার বিঘা জমিতে ১০০ চাইনিজ কমলার চারা রোপণ করেন তিনি। সে সময় তিনি জানতেন না, এ গাছে কেমন ফল হবে। প্রায় দুই বছরের মাথায় ২০২০ সালের শেষ দিকে গাছে ফল আসে। এতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে কমলার আবাদ করতে প্রথম ১০/১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সামান্য কিছু পরিচর্যা করলেই এ চাষে সাফল্য আসে। কমলা চাষে পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে এক মৌসুমে ৩০-৩৫ কেজি কমলা পাওয়া সম্ভব। জীবননগরের গোয়ালপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি ইসলামপুরের কমলা বাগানে আসেন আসাদুজ্জামানের সফলতা দেখতে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও আধুনিক চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক। এ কারণে জেলার যেখানেই ব্যতিক্রমী চাষাবাদের খবর পাই সেখানেই সেটি দেখতে যাই। আসাদুজ্জামানের কমলা বাগান দেখে আমি মুগ্ধ।’

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় কমলা চাষের সাফল্যে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। এ কারণে এ চাষকে সম্প্রসারিত করার জন্য সব ধরনের পরামর্শ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের মতে, এ চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে দেশে উৎপাদিত বিষমুক্ত ফল দিয়েই বিদেশি ফলের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর