শিরোনাম
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
মামুনারের মধু চাষ

একজন মধু মামুন

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

একজন মধু মামুন

মধু চাষ করে বছরে আয় ১০ লাখ টাকা। অবাক করার মতো এ কাজটি করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের যুবক মামুনার রশিদ। ১৯৯৭ সালে মাস্টার্স পাস করার পর চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কিছু করার কথা ভাবতে থাকেন মিরপুর উপজেলার গেটপাড়া এলাকার বাসিন্দা মামুনার রশিদ। তখন মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদনের কথা মাথায় আসে তার। মামুনার রশিদ জানান, প্রথমে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে দুটি বাক্স কিনে স্বল্প পরিসরে মৌমাছি পালন শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তার মৌচাষের পরিধি বাড়তে থাকে। প্রথমে সরিষার মৌসুমে এলাকার বিভিন্ন মাঠে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু উৎপাদন করতেন। তবে বছর দুয়েক হলো তিনি বৃহৎ পরিসরে মধু চাষ শুরু করেছেন, বেড়েছে তার খামারের পরিধি। নিজ জেলা কুষ্টিয়া ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তিনি মধু উৎপাদন করছেন। কেবল সরিষা খেত নয়, বর্তমানে কালোজিরা, লিচু, পদ্ম, টমেটো, কুলসহ বিভিন্ন খেত থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মামুনার। এলাকার মানুষ এখন তাকে মধু মামুন বলে সম্বোধন করেন।

মামুনার রশিদ বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) খামারে অন্তত ২৫ লাখ টাকার মধু উৎপাদন হবে বলে তার বিশ্বাস। বছর শেষে তার নিট মুনাফা দাঁড়াবে কম করে হলেও ১০ লাখ টাকা।

নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মামুনারের মধু খামারে ২৫ জন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

মামুনার রশিদ জানান, বিদেশে এ মধুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তিনি এর আগে কিছু মধু অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানিও করেছেন। তবে এসব দেশে রিফাইন্ড মধুর চাহিদা বেশি। রিফাইন মেশিন না থাকায় তিনি মধু রিফাইন্ড করতে পারছেন না।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, মামুনার রশিদ একজন সফল উদ্যোক্তা। তার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে এরই মধ্যে তাকে প্রায় ৯ লাখ টাকা মূল্যের পিকআপ ভ্যান কিনে দিয়েছে স্থানীয় কৃষি  বিভাগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর