শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ

প্রসঙ্গ : মোবাইলফোন আসক্তি

পরামর্শ দিয়েছেন জিন্নাতুল বোরাক, সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রসঙ্গ : মোবাইলফোন আসক্তি

যুগের চাহিদার কারণে আমরা মোবাইল ব্যবহার না করে পারি না। কিন্তু এটি তখনই সমস্যা হিসেবে দেখা যায়, যখন এর ব্যবহারের সময়সীমা স্বাস্থ্যবান্ধব হয় না।

মানুষ যখন কোনো স্ক্রিনের সামনে থাকে, তখন শরীরের সঙ্গে সঙ্গে তার মস্তিষ্কও নিষ্ক্রিয় থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার বা টেলিভিশন স্ক্রিনের সামনে বসে থাকলে এটি ব্যক্তির কর্মস্পৃহা বা উদ্দীপনা নষ্ট করে দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা ব্যাহত হওয়া এবং আচরণগত সমস্যা তৈরি করে। দীর্ঘ সময় ধরে ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের ফলে জীবনের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। এমনকি ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজের রুটিন নষ্ট করে দিতে পারে। যখন যে কাজ করা উচিত, সেটা সেই সময় করা সম্ভব হয় না। এক ধরনের আসক্তিতে পড়ে যায়।

এর প্রতিকারের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সচেতনতা। মোবাইল ব্যবহারের আদর্শ সময়সীমা হতে পারে দিনে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

এটি একটি পারিবারিক সমস্যাও বটে। ফলে পরিবারিক পরিবেশও এর প্রতিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার থেকেই মোবাইল ব্যবহারের বিকল্প তৈরি করে দিতে হবে। এর জন্য সবাই মিলে উপভোগ করা যায়, এমন কাজ করা যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, বোর্ড গেম খেলা বা রান্না শেখার মতো ঘরোয়া দক্ষতাগুলোও আয়ত্ত করা যেতে পারে।

অনুলিখন :  নাসিমুল হুদা

সর্বশেষ খবর