শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
মাঠের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দুজনই বাংলাদেশি

মেলবোর্ন বরো সিটি পাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশি মেয়র

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

মেলবোর্ন বরো সিটি পাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশি মেয়র

প্রার্থী- মোহাম্মদ নূরুল হাসান ও মাহাবুবুল তৈয়ব

পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ার পাশের মেলবোর্ন বরো সিটিতে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়। আগামী ১৮ মে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে (প্রাইমারি) মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে দুজন মাঠে নেমেছেন উভয়েই বাংলাদেশি আমেরিকান। অর্থাৎ যিনিই জয়ী হবেন তিনিই লাল-সবুজের পতাকা হৃদয়ে ধারণ করে প্রকারান্তরে বহুজাতিক এ সিটিতে বাংলাদেশকেই মহিমান্বিত করবেন- এমন মন্তব্য করেছেন পেনসিলভেনিয়ায় কমিউনিটি লিডার ড. ইবরুল হাসান চৌধুরী।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ড. ইবরুল হাসান বলেন, মেলবোর্ন বরোর আয়তন এবং জনসংখ্যা বেশি না হলেও সিটি মেয়র হিসেবে নিউইয়র্ক অথবা ফিলাডেলফিয়া সিটির মেয়রের যে গুরুত্ব, এটিরও একই। তাই, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সিটির মেয়র হিসেবে মেলবোর্নই প্রবাসীদের দ্বার উন্মোচন করবে।

মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী দুজন হলেন- মো. নূরুল হাসান এবং মাহাবুবুল তৈয়ব। বর্তমানে মেলবোর্ন বরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নূরুল হাসান। অপরজন ওই সিটির কাউন্সিলম্যান। উভয়েই চট্টগ্রামের সন্তান।

নূরুল হাসান ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব পেনসিলভেনিয়ায় কাজ করে আসছে। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক। মার্কিন আইটি সেক্টরে প্রবাসীদের উচ্চ বেতনে চাকরি পাইয়ে দিতে দেড় দশকেরও অধিক সময় ধরে কর্মরত ‘পিপল এন টেক’র ফিলাডেলফিয়া ক্যাম্পাসেরও নির্বাহী প্রধান। অর্থাৎ প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাসান। অপর প্রার্থী মাহাবুবুল তৈয়বও ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব পেনসিলভেনিয়ায় কাজ করে আসছেন। পেনসিলভেনিয়ার ডেলাওয়্যার কাউন্টির দক্ষিণ-পূর্ব বিভাগে অবস্থিত মেলবোর্ন বরো। এটি হলো আমেরিকার সিটির মধ্যে সবচেয়ে ছোট। আকারে ০.১ বর্গমাইল। মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকের বসবাস এখানে। ১৯০৯ সালে বরো সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বরো অব মেলবোর্ন প্রশাসনে বর্তমান রূপ হলো মেয়র-কাউন্সিল। মেলবোর্ন বরো কাউন্সিলের পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে গঠিত, যার প্রত্যেকটিতে থাকবে চার বছরের ওভারল্যাপিং মেয়াদ। কাউন্সিল সদস্য ছাড়াও মেলবোর্ন বরোর বাসিন্দারা মেয়র নির্বাচন করেন। পুলিশের সব কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বসহ মেয়রের মেয়াদ চার বছর। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫৩০। এর মধ্যে ৫০ জন রিপাবলিকান, বাকি সবাই ডেমোক্র্যাট। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার অর্থ হলো নির্বাচনে জয়ী হওয়া। সে আলোকে মেলবোর্ন সিটির রাজনীতি পুরোটাই এখন বাংলাদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এ সিটিতে প্রায় ১৪০ বাংলাদেশি ভোটার এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ১ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে ৫৫০ জন। আগামী ১৮ মে প্রাইমারি নির্বাচনে এবারই কোনো আমেরিকান কিংবা অন্য কোনো জাতি-গোষ্ঠীর সমর্থিত কেউ সিটি মেয়র পদের লড়াইয়ে মাঠে নামেননি।

সর্বশেষ খবর