জায়না আলম পিয়া। ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দেশের সীমানা ডিঙিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উঠে এসেছে তার নাম। করোনার অবরুদ্ধ সময়ে ‘লেট আস ফাইট এগেইনস্ট কভিড-১৯ টুগেদার’ শিরোনামে তার আঁকা ছবি স্থান পেয়েছে ইউনিসেফের ফেসবুক পেজে। এই ছবির জন্য সংস্থাটি তাকে ২০২০ সালের ইউনিসেফ সুপারস্টার ঘোষণা করে। ইউএনএচসিআরও ছবিটি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করে। জলরঙের সঙ্গে এক্রেলিক মাধ্যমের সংমিশ্রণে আঁকা ছবিটি নির্বাচিত হয় ‘হ্যাশট্যাগ কিডস পেইন্ট করোনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। যা যৌথভাবে আয়োজন করে জার্মানির জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘দাই জিট’ এবং নরওয়ের অসলোর দ্যা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চিলড্রেন্স আর্ট। বিশ্বের ৬৪টি দেশের শিশুশিল্পীদের সাড়ে ৫ হাজার চিত্রকর্ম থেকে ১০০টি ছবি নির্বাচিত হয়। আর এই চূড়ান্ত মনোনয়নে বাংলাদেশের একমাত্র শিশুশিল্পী হিসেবে জায়গা পায় পিয়ার আঁকা ছবিটি। নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যা রিমেমব্র্যান্স’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে জায়না আলম পিয়ার আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থান পায়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নামকরা গুণী চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে পিয়ার সুযোগ পাওয়াটা ছিল আরেক সাফল্য। সবমিলিয়ে ২০২০ সালে শিশু শিল্পী জায়না আলম পিয়া ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয় করে।