শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গুগলে বুয়েটের সাদ

শনিবারের সকাল ডেস্ক

গুগলে বুয়েটের সাদ

স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান গুগল থেকে চাকরির অফার পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদ মুহাম্মদ জুনায়েদ। এর আগে তিনি বেশ কিছু কোম্পানি থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। তিনি মনে করেন এসব প্রত্যাখ্যান হয়তো তার জন্য মঙ্গলজনক ছিল। তিনি গুগলের পোল্যান্ড শাখা থেকে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। সাদ বুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞান থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি মণিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন।

গুগলের অফার পাওয়ার বিষয়ে সাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসলে গুগলে চাকরি করার ইচ্ছা  জাগে বিভাগের সিনিয়র বড় ভাই-আপুদের দেখে। বুয়েটের প্রতি ব্যাচ থেকেই গুগলে ৫/৬ জন চাকরি পেয়ে থাকে। আমি স্বপ্ন দেখতে শুরু করি, যা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এমন অর্জনের অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। এখানে কাজ করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু শেখার সুযোগ তৈরি হবে। যার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। বলতে পারেন বিভাগের সিনিয়রদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। গুগলের ইন্টারভিউ প্রসেস বলা যায় অনেক বড়। আমি জানুয়ারির দিকে প্রথম ইন্টারভিউ কল পাই আমার বন্ধু অনীকের রেফারালের মাধ্যমে। এরপর একজন রিক্রুটারের সঙ্গে কথা হয়। কথাবার্তার আলোচ্য বিষয় ছিল আমার নিজের সম্পর্কে, আমার বর্তমান জব, কেন আমি জব চুজ করতে চাই ইত্যাদি এবং তিনি আমাকে সংক্ষেপে ইন্টারভিউ প্রসেস সম্পর্কে একটি ধারণা দেন। প্রথমে একটা ফোন কল রাউন্ড হয় ৪৫ মিনিটের, আমি আইডিয়া খুব দ্রুত বের করে ফেলি, কিন্তু নার্ভাসনেসের কারণে কোডিং একদম নির্ভুল ছিল না। আমাকে দ্বিতীয় আরেকটি ফোন কল এর সুযোগ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ফোন ইন্টারভিউয়ে কোডিং একদম নির্ভুল ছিল বলা যায়। দুটি ফোন ইন্টারভিউই গুগল মিটে হয়েছিল, আর কোড করা হয়েছে গুগল ডকসে। পরের সপ্তাহে রিক্রুটার সুসংবাদ দেন যে আমি অনসাইটে যাচ্ছি। কিন্তু কভিডের কারণে ভার্চুয়ালি হবে। অনসাইট মূলত ৫টি ইন্টারভিউয়ের কম্বিনেশন। ৪টি কোডিং এবং একটি বিহেভিয়ার সম্পর্কিত। দুর্ভাগ্যবশত অনসাইটের সময় আমার পরিবারের সবাই করোনা আক্রান্ত হয়। তাই কিছুটা মানসিক চাপ নিয়েই অনসাইটগুলো দিই। আল্লাহর রহমতে অনসাইটের ফিডব্যাক পজিটিভ আসে। অনসাইটের ফরম্যাট ও ফোন কল রাউন্ডের মতো ছিল। এরপর শুরু হয় টিম ম্যাচিং রাউন্ড। দুজন ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়, তার মধ্যে BigQuery প্রেফার করি। এরপর আমার ফুল প্যাকেজ (সিভি, ইন্টারভিউ, ফিডব্যাকস) রিক্রুটার নিয়োগ কমিটির কাছে সাবমিট করে। এরপর কিছু ফরমালিটি শেষ করে অবশেষে অফার পেলাম। যে কোনো জায়ান্ট কোম্পানিতে কাজ করা আসলে বিশাল সুযোগ। অনেক কিছু শেখা যায়, ক্যারিয়ার উন্নত করার অনেক সুযোগ থাকে। তাই সব মিলিয়ে গুগল স্বপ্নের চাকরি বলা যায়। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে গুগলে আমার অফিশিয়ালি কাজ শুরুর কথা রয়েছে। দীর্ঘ এ যাত্রায় পরিবার, বন্ধু-সহপাঠী ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর