শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাইসা

শনিবারের সকাল ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাইসা

যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী দেশে আমেরিকানদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে হয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছাত্রছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ব ও সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আমেরিকায় বসবাসরত পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া শহরের সম্ভ্রান্ত খানবাড়ির সন্তান মাইসা খান শিক্ষা ক্ষেত্রে এবার মার্কিন শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। গত ২৫ জুন স্কুল অডিটরিয়ামে মাইসা খানের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সেখানকার শিক্ষা বিভাগ তাকে এ সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট দেয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মঈন ইউ খান ও নুসরাত খানের বড় কন্যা মাইসা খান সম্প্রতি নিউফিল্ড হাইস্কুল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড-২০২১ লাভ করেন। মাইসা খান এ বছর একই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি ওয়াইজ অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মাইসা খান ২০১৪ সালেও বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন এবং এবার পেলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড।

শিক্ষার্থী মাইসা খান বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এ অর্জনে গর্ববোধ করছি। দেশের মানুষের দোয়া কামনা করছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় আরও সফলতা অর্জন করতে চাই।

শিক্ষার্থী মাইসার চাচা দীপুন খান বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকানদের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপদে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে। আমার দেশ সমৃদ্ধ হবে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থী সব বিষয়ে শতকরা ৯০ ভাগ বা তার বেশি নম্বর পান তারা এই প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। আমেরিকার শিক্ষা বিভাগ ১৯৮৩ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করেন। ইতিপূর্বে মার্কিনিরা শিক্ষা ক্ষেত্রে এ ধরনের কৃতিত্ব অর্জন করলেও বর্তমানে বাংলাদেশিসহ এশিয়ান বংশোদ্ভূতরা চরম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুরস্কারসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি লাভ করছেন। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা  সবার।

সর্বশেষ খবর