শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
শখ

বিদেশি মুরগি পালনে সফল চীনা নাগরিক

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

বিদেশি মুরগি পালনে সফল চীনা নাগরিক

লেখাপড়ার জন্য চীনে গিয়েছিলেন গাইবান্দা সদরের ফিরোজ আলম। সেখানে একটি সেমিনারে পরিচয় হয় প্রশিক্ষক চীনা নাগরিক ওয়াং লু ফিং (সুফি)-এর সঙ্গে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রথমে পরিচয়, পরে তা গড়ায় পরিণয়ে। এরপর সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা শুরু করেন এই দম্পতি। 

করোনার ছুটিতে বাংলাদেশে এসে অবসরে তারা নিজেদের আসা যাওয়ার ফাঁকে চীন থেকে বেশ কিছু ডিম নিয়ে আসেন। গাজীপুরের কালিগঞ্জের নগরভেলা গ্রামে ১২ শতাংশ ভাড়া করা জমিতে গড়ে তুলেন মুরগির শেড। চীনা নাগরিক সুফির শখের বশে চীন থেকে আনা ওইসব ডিম কৃত্রিমভাবে ফুটে ১৩ জাতের ৮৪টি বাচ্চার জন্ম হয়। সে বাচ্চাগুলো নিয়ে এসএস রেয়ার ব্রিড এগ্রো ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। এক বছরেই তাদের খামারের বিভিন্ন জাতের চীনা মুরগির সংখ্যা এখন তিন হাজার ৫০০-তে দাঁড়িয়েছে। এখন চীনা জাতের এসব মুরগিকে ঘিরে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকীকরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এই এগ্রো ফার্মে চাইনিজ সিল্কি, চাইনিজ দেশিী, প্রকৃত কাদারনাথ, চাইনিজ বড় জাতের মুরগির জাত হু হেই জি, হং অ জি, চীনা টার্কি, দেশে প্রথমবারের মতো খামারে লালন পালন হচ্ছে। এখান থেকেই সারা দেশেই চাইনিজ মুরগি পালন ছড়িয়ে দিতে চান এই দম্পতি। খামারের উদ্যোক্তা চীনা নাগরিক সুফি বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে পালন হওয়া বিভিন্ন জাতের মুরগির মাংসের স্বাদ ও দেশীয় মুরগি পালনের বিবেচনায় তিনি এর চেয়েও উন্নত মুরগি বাংলাদেশে পালনের লক্ষ্যে এই খামারটি শুরু করেন। উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এসব মুরগির যথাযথ মানানসই হয়েছে। এরা যেমন দ্রুত বেড়ে উঠছে, তেমনি দ্রুত প্রজননের উপযোগী হয়েছে। এভাবেই বেড়েছে তার খামারের মুরগির সংখ্যা। তার খামারে থাকা চীনা সিল্কি ও প্রকৃত কাদারনাথ মুরগি বাংলাদেশে প্রথম। তিনি আরও বলেন, চীনে বহু প্রজাতির মুরগি রয়েছে। কিছু রয়েছে দেখতে অনেকটা পাখির মতো। এসব জাতের মুরগিসহ বেশ কিছু উন্নত জাতের মুরগি তিনি বাংলাদেশের প্রকৃতিতে আনতে চান। যা পালন করে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বা অধিক ঠান্ডায় এসব মুরগি সহজেই টিকে থাকতে পারে, তাদের মৃত্যুহারও কম। তাই বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চীনা মুরগির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর