করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে অক্সিজেনের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বল্প খরচে অক্সিজেন উৎপাদনের মেশিন তৈরি করে সাড়া ফেলেছে ঈশ্বরদী এসএম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহের মাহমুদ তারিফ। সে বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার তৈরি প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন তৈরি করে দেখানো হয়। এই মেশিনটি তৈরি করতে তারিফের সময় লেগেছে দুই সপ্তাহ এবং খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে তারিফ জানায়, ‘প্ল্যান্ট তৈরি করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস ও আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবার আগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। আহত ফুসফুস বাতাস থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সংগ্রহের সামর্থ্য হারাতে থাকে। ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে করোনা আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। করোনা রোগীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হলো মেডিকেল অক্সিজেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৯৫-১০০ শতাংশ। এই মাত্রা ৯৩ শতাংশের কম হলে সতর্ক হতে হয় এবং ৯২ শতাংশের কম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, অক্সিজেন ঘাটতি ও এর জরুরি প্রয়োজনীয়তা মাথায় নিয়ে অল্প খরচে প্ল্যান্ট তৈরি করেছে তাহের মাহমুদ তারিফ। বলা যায় বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। কম খরচে প্ল্যান্ট তৈরিতে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।