শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নৌকার বৈঠায় দেড়যুগ রানীর

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

নৌকার বৈঠায় দেড়যুগ রানীর

নৌকার বৈঠা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন মানিকগঞ্জের চপলা রানী। বৈঠা থেমে গেলে সংসার অচল হয়ে যায়। তাই সংসার সচল রাখতে দেড়যুগ ধরে খেয়া পারাপার করছেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে কোমল হাতে শক্ত করে নৌকার বৈঠা ধরেন হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামের খেয়াঘাটের মাঝি সুবাস চন্দ্র দাসের স্ত্রী চপলা রানী দাস। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামের খেয়াঘাটের মাঝির কাজ করতেন সুবাস চন্দ্র দাস। ২০০৩ সালে স্বামী প্যারালাইজড-এ আক্রান্ত হলে স্ত্রী চপলা রানী হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি হার মানতে রাজি নন। স্বামীর পেশাকেই তিনি আঁকড়ে ধরেন। শুরু হয় তার চার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। তিন বছর অসুস্থ থাকার পর স্বামী মারা যান। সন্তানদের নিয়ে তিনি সংগ্রাম করে আজও টিকে আছেন। এর মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। ছোট ছেলে মাকে কাজে সাহায্য করেন। হার না মানা সংগ্রামী নারী দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নৌকার বৈঠা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী চপলা রানী স্বামীর পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি খেয়া পারাপার করে সংসার চালাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিধবা কার্ড দেওয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হয়। আমাদের এলাকাটি নদীভাঙনকবলিত। এখানে দুস্থ লোকের সংখ্যা বেশি। তাই বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না।

সর্বশেষ খবর