শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি তরুণ পেলেন ৩৫ কোটির বিনিয়োগ

শনিবারের সকাল ডেস্ক

বাংলাদেশি তরুণ পেলেন ৩৫ কোটির বিনিয়োগ

গ্রেম্যাটার রোবটিকসের কর্মীদের সঙ্গে আরিয়ান কবীর (ডান থেকে চতুর্থ)

সারা বিশ্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকরা তাদের মেধা-মনন কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তেমনি একজন বাংলাদেশি তরুণ আরিয়ান কবীর। পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানুষকে সহায়তায় কাজ করে এখন রোবট ও রোবটিক পদ্ধতির উদ্ভাবক স্টার্টআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। এ বছর আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্টার্টআপ গ্রেম্যাটার রোবটিকস ৪১ লাখ ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

আরিয়ান কবীর ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করার পর ভারতীয় প্রকৌশলী ব্রুয়াল শাহ এবং প্রফেসর এস কে গুপ্তের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরিয়ান কবীর বলেন, নতুন বিনিয়োগের অর্থে কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী সেবা বা পণ্য উন্নয়নের পাশাপাশি আরও গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে তাদের প্রতিষ্ঠান। তিনি আরও জানান, স্টার্টআপ গ্রেম্যাটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কয়েকটি অ্যালগরিদম উদ্ভাবন করেছে, একত্রে শিল্প-রোবটকে খুব সহজে কার্যোপযোগী করতে পারে। বাজারে প্রচলিত রোবট, সেন্সর ও বিভিন্ন হাতিয়ারের সঙ্গে প্যাকেজ করে তাঁরা তাঁদের এই সফটওয়্যার বাজারজাত করছেন।

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্লান্তিকর ও বিপজ্জনক কাজ থেকে মানুষকে অব্যাহতি দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। তবে তাঁদের রোবটগুলোকে পরিচালনা করার জন্য মানুষের প্রয়োজন আছে। রোবটগুলো কারখানার যেসব স্থানে সারফেস ফিনিশিংয়ের কাজ করা হয়, সেখানে কাজ করে। এগুলো ‘বুদ্ধিমান’ ও প্রোডাকশন লাইনের অনুরূপ জায়গায়ও নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গ্রেম্যাটার উৎপাদকদের সক্ষমতা বাড়ানো, সার্বক্ষণিকভাবে মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মানোন্নয়নের জন্য ডিজিটাল নজরদারির ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়তা করে। আরিয়ান কবীর জানান, এখনো লাখ লাখ মানুষ ক্লান্তিকর ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। তরুণ প্রজন্ম আর এ ধরনের কাজ করতে চায় না। তাঁর দল উৎপাদনকর্মীদের জীবনমানের উন্নয়ন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং অধিকতর মূল্য সংযোজনে নিয়োজিত করার জন্য কাজ করতে চায়।

সর্বশেষ খবর