শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
উদ্যোগ

কাঁথা সেলাইয়ে স্বাবলম্বী ফরিদপুরের নারীরা

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

কাঁথা সেলাইয়ে স্বাবলম্বী ফরিদপুরের নারীরা

শীতের শুরুতেই ফরিদপুরের বিভিন্ন পল্লীতে কাঁথা সেলাইয়ের ধুম পড়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূ নারী থেকে শুরু করে তরুণীরাও এখন কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সংসারের কাজের ফাঁকে কাঁথা সেলাই করে অনেক নারীই এখন স্বাবলম্বী। অনেক স্থানে নারীরা কাঁথা সেলাই করে তা বাজারে এবং বিভিন্ন শো-রুমে বিক্রি করছেন। বেশির ভাগ কাঁথা অর্ডার অনুযায়ী বানানো হচ্ছে। পুরনো কাপড় আর সুই-সুতোয় এখন হাজারো নারীর অবসর সময় কাটছে কাঁথা সেলাইয়ে। শহরের পশ্চিম আলিপুর এলাকার রুবি বেগম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করছেন। তার সঙ্গে তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েও অবসরে কাঁথা সেলাই করছে। রুবি বেগম জানান, প্রতিটি কাঁথা সেলাই করে তিনি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। প্রতি মাসে তিনি ১০/১৫টি কাঁথা বিক্রি করেন। শহরতলির অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর এলাকার মর্জিনা, আছিয়া, আমেনা বেগমসহ বেশ কিছু মহিলা কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করছেন। সংসারের কাজ শেষ করে তারা দুপুরের পরই বসে যান কাঁথা সেলাইয়ের কাজে। একটি কাঁথা সেলাই করতে তাদের চার-পাঁচ দিন লাগে। শহরের ভাজনডাঙ্গা এলাকার বেশ কিছু ছাত্রী বছরের বিভিন্ন সময় কাঁথা সেলাই, হাতে করা নকশি জামা তৈরি করে তা বিভিন্ন শো-রুমে বিক্রি করেন। কলেজ ছাত্রী রুমানা, বৃষ্টি, স্কুলছাত্রী তানিয়া, স্বর্ণাসহ অনেক ছাত্রীই এখন অবসরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নানা ধরনের কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করে। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সংসারের খরচও তারা মেটাতে সাহায্য করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে নারীরা ঘরে বসে কাঁথা সেলাই করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। জেলার কয়েকটি দোকানে নকশি করা কাঁথা বিক্রি হলেও যারা কাঁথা সেলাই করেন তারা জানান, অর্ডার অনুযায়ী  কাঁথা সেলাই করে থাকেন। পুরনো কাপড় দিয়ে সেলাই করা কাঁথা বিক্রি করেন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের নকশি কাঁথা সেলাই করতে তারা মজুরি হিসেবে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।

সর্বশেষ খবর