মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাবা ও তার দুই সন্তান চমক দেখাল। একই পরিবারের এই তিন সদস্য সাঁতরে পাড়ি দিয়েছে বাংলা চ্যানেল। এটাও একটা রেকর্ড দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে এই অনন্য কীর্তি গড়েন সৈয়দ আক্তারুজ্জামান। বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান ও বাবার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নেয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স মাত্র ১০ বছর। এত কম বয়সে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার অনন্য নজির এটাই। বাবা ও দুই সন্তানসহ টিমে আরও ছিলেন ৭৯ জন সাঁতারু। সীমান্ত শহর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন তারা। এদিকে সংশ্লিষ্টদের মতে, একই পরিবার থেকে একসঙ্গে তিনজন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া হয়নি কখনো। এবারই প্রথম বাবা, ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস গড়ে। সফলভাবে সাঁতার সম্পন্ন করে সন্ধ্যা ৬টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছেন ৫০ সাঁতারু। ডুবুরি দল বাকিদের সাগরের নানা পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করে নেন। এবারের সাঁতারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বরগুনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগর সাঁতরে সেন্টমার্টিন পৌঁছান বলে আয়োজকরা জানান। সৈয়দা লারিসা সেন্টমার্টিনে পৌঁছতে পারেনি। তাকে উদ্ধার করে নেন ডুবুরি দল। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়ার সমুদ্রসৈকত থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সকাল পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ জন। তাদের মধ্যে একজন বিদেশিও ছিলেন। ১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের সাঁতার হচ্ছে। পাশাপাশি এ সাঁতারে প্রচুর সংখ্যক যুবক অংশগ্রহণ করছেন। এই সাঁতারের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশ ভালো একটি ফলাফল ভোগ করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন। লিপটন সরকার বলেন, এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি।

এবারের আয়োজনের অন্যতম চমক সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। সাঁতার শুরু করার আগে লারিসা বলেছিল, একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি আমি পারব। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।