শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পাখি ও প্রাণীদের বন্ধু মতিন সৈকত

৩০ বছর তিনি পাখি ওড়ান, সরীসৃপ ছাড়েন

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

পাখি ও প্রাণীদের বন্ধু মতিন সৈকত

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা। এ উপজেলার আদমপুর, পুটিয়াসহ আশপাশের গ্রামে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলেই চোখে পড়ে মাছের খামারে ব্যবহার করা জালে কোনো পাখি বা গুইসাপ আটকা পড়েছে। তিনি নেমে পড়েন সেটিকে উদ্ধার করতে। বেশি আহত হলে চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেন। নয়তো তাৎক্ষণিক মুক্ত স্থানে ছেড়ে আসেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এ কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৫০০ পাখি উদ্ধারের পর অবমুক্ত করেন। এ ছাড়া বন বিড়াল, গুইসাপ, বেজি, শিয়ালসহ অনেক বন্যপ্রাণীকে অবমুক্ত করেছেন। পাখি ও প্রাণীদের বন্ধু মতিন সৈকত। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। এর পাশাপাশি কৃষি নিয়ে তিনি কাজ করেন। বাড়ির পাশে কালাডুমুর নদ। তাঁর নেতৃত্বে কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ের দাবির পর কালাডুমুর নদ ১১ কিলোমিটার পুনঃখনন হয়েছে। ২০০ টাকা নামমাত্র মূল্যে ৩০ বছর ধরে বোরো ধানে সেচ দিয়ে আসছেন। ফসলের মৌসুমে ঢোল পিটিয়ে, মাইকিং করে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন এবং  নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষের অনত্যম উদ্যোক্তাদের একজন মতিন সৈকত। নিজস্ব জমিতে নার্সারি করে ২০ বছর ধরে লাখ লাখ গাছের চারা উৎপাদন করছেন। মতিন সৈকত বলেন, পাখি-প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে। তাদের বিপদে পড়তে দেখলে খারাপ লাগে। তাদের উদ্ধার করে মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ায় আনন্দ খুঁজে পাই। এ ছাড়া পরিবেশ বিষয়ে গবেষণা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিবেশ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।

সর্বশেষ খবর