শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

আত্রাই নদীর পরিযায়ী পাখিরা

সারা দিন নদীতে থাকলেও রাতে পাখিগুলো ফিরে যায় পাশের বিল মোহাম্মদপুর, রামচন্দ্রপুর, মধুবনসহ কয়েকটি স্থানে। ভোরে আবারও ফিরে আসে নদীতে। প্রায় ১২ বছর থেকে আত্রাই নদী জুড়ে অতিথি পাখি আসছে শীত মৌসুমে...

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

আত্রাই নদীর পরিযায়ী পাখিরা

সবুজে ঘেরা গ্রাম কুঞ্জবন। গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। নদীর দুই পাড়ের সড়ক আর সড়কের পাশে অসংখ্য গাছে ছেয়ে থাকা সেই কুঞ্জবন গ্রাম পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে হয়ে উঠেছে মুখর। শীতের শুরু থেকেই হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি এসে আবাস গড়েছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর তীরের গ্রাম কুঞ্জবনে। পরিযায়ী  সেসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে নদীর দুই পাড়ের মানুষের। নিরাপদে পাখিগুলোর বসবাসের জন্য নিরাপদ আবাস করে দিতে প্রচেষ্টার কমতি রাখেনি সেখানকার সামাজিক সংগঠনগুলো। আর সারা দিন নদীতে থাকলেও রাতে পাখিগুলো ফিরে যায় পাশের বিল মোহাম্মদপুর, রামচন্দ্রপুর, মধুবনসহ কয়েকটি স্থানে। ভোরে আবারও ফিরে আসে নদীতে। প্রায় ১২ বছর থেকে নওগাঁর মহাদেবপুরের আত্রাই নদীর কুঞ্জবন এলাকাজুড়ে অতিথি পাখি আসছে শীত মৌসুমে। শীতপ্রধান দেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পরিযায়ী পাখিরা এসে কুঞ্জবনের নদীতে আশ্রয় নেয়। শীতের শুরুতে আসতে শুরু করে পাখিরা। এ সময় নদীতে পানির পরিমাণও কম থাকে। বছরের ৪-৫ মাস পাখিগুলো এখানেই থাকে। নওগাঁ সদর থেকে অতিথি পাখি দেখতে আসা লুৎফুন নাহার স্মৃতি ও আল সাবাহ স্বর্ণ বলেন, এই প্রথম এখানে এসেছি অতিথি পাখি দেখতে। আত্রাই নদীতে পাখির কলরবে পুরো কুঞ্জবন এলাকা মুখরিত। সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি যদি সরকারিভাবে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আগামীতে এ এলাকায় পাখিদের আরও বেশি আগমন ঘটবে, সেই সঙ্গে এলাকাটি ঘিরে সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্র গড়ে  তোলা যেতে পারে। রাজশাহী শহরের সাহেবপাড়ার গৃহিণী লাকমিনা জেসমিন এসেছেন পরিবার নিয়ে ঘুরতে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, অতিথি পাখির কলকাকলিতে সত্যিই আমি মুগ্ধ। এতগুলো অতিথি পাখি একসঙ্গে এর আগে কখনো  দেখিনি। তবে পাখিদের নিরাপদ আশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমার মনে হয় আরও বেশি পাখি আসবে। বিচিত্র পাখি উৎপাদন গবেষণা পরিষদ নামের সামাজিক সংগঠনের পরিচালক মুনসুর সরকার বলেন, অতিথি পাখিদের নিরাপদ অবস্থানের জন্য নদীর পানিতে বেশ কিছু বাঁশ দিয়ে ঘের তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে এসে পানিতে পড়ছে। এ যেন অসম্ভব সুন্দর মনোরম এক দৃশ্য।

সর্বশেষ খবর