শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

কুমিল্লা মেতেছে রোবট উৎসবে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লা মেতেছে রোবট উৎসবে

কুমিল্লায় এর আগে উল্লেখযোগ্য তিনটি রোবট তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুটি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এগুলো হলো সিনা ও ব্লুবেরি। একটি করেছেন বেসরকারি ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর নাম মিয়া-১। সেই ধারায় কুমিল্লায় এখন একাধিক রোবট তৈরির উৎসবে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ল্যাবে চলছে ১২০ জন শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের ল্যাবে চলছে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ। ল্যাব দুটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ল্যাবে গ্রুপ করে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। তাদের চোখেমুখে সৃষ্টি সুখের উল্লাস। প্রশিক্ষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুয়েল নাথের লেকচার তারা মনোযোগ সহকারে শুনছেন। ল্যাবে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েছে। রয়েছে মাদরাসার শিক্ষার্থী। বাইরে অভিভাবকরা  ঘোরাফেরা করছেন। জেলা প্রশাসনের ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, থ্রিডি প্রিন্টারে চলছে রোবটের বডি প্রিন্ট। প্রশিক্ষকের সঙ্গে সেন্সর নিয়ে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসনের আইসিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার কানিজ ফাতেমা বলেন, কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মহোদয়। কুমিল্লা নগরীর ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রথমে তিন দিনের কর্মশালা করা হয়েছে। তার থেকে বাছাই করে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদা বিন মহসিন বলেন, প্রশিক্ষণে অনেক কিছু শিখতে পারছি। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। আশা করছি এই কর্মশালার মাধ্যমে ভালো কিছু করতে পারব।

মাহমুদার মতোই আনন্দিত কুমিল্লা আলিয়া মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন। শিরিন আক্তার নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে জিনাত আক্তার দশম শ্রেণিতে পড়ে। সে ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির বিষয়ে আগ্রহী। এই কর্মশালায় এসে সে খুবই খুশি। প্রশিক্ষক দলের প্রধান সঞ্জিত মণ্ডল বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের অনেক আগ্রহ। তাদের থেকে ভালো ফলাফল আসবে বলে আশা করছি। কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, অনেক শিক্ষার্থী প্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এ রকম কার্যকরী প্রশিক্ষণ তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা সময়টা কাজে লাগাতে পারবে।

সর্বশেষ খবর