শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
অনুপ্রেরণীয়

কানাডার নির্বাচনে লড়ছেন তারা

শনিবারের সকাল ডেস্ক

কানাডার নির্বাচনে লড়ছেন তারা

বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। তাদের অনেকেই সেসব দেশে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জাতীয় রাজনীতিতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডায় এরই ধারাবাহিকতায়  আগামী ২ জুন অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি বংশো ত তিন নারী প্রার্থী। সেখানে ইতোমধ্যে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তারাও প্রার্থীদের কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন।

২০১৮ সালে এনডিপির মনোনয়নে ডলি বেগম নির্বাচনে জিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট রাইডিংয়ে এবারও তিনি প্রার্থী। ডলি বেগম ছাড়া আরও দুজন বাংলাদেশি বংশো™ূ¢ত প্রার্থী এবার প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইটোবিকো-লেকশোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম আর ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কানিজ মৌলি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এনডিপি প্রার্থী ডলি বেগম গণমাধ্যমকে জানান, গত চার বছর তিনি অন্টারিয়ানদের নানা ইস্যুতে পার্লামেন্টে সোচ্চার থেকেছেন। অভিবাসীদের সমস্যা নিয়ে সরব থেকেছেন। তার চার বছরের কাজের মূল্যায়নে ভোটাররা এবারও তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।  ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী কানিজ মৌলি বলেন, অন্টারিওর মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য সবচেয়ে প্রগতিশীল এবং অগ্রসর ভাবনার কর্মসূচি নিয়ে অন্টারিও লিবারেল পার্টি এবার নির্বাচন করছে। তাদের কর্মসূচির কারণেই জনগণ তাদের এবার ভোট দেবেন বলে আশা করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা মূলত অভিবাসী। একজন অভিবাসী পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদের সমস্যা, চাওয়া আমি সবচেয়ে ভালো  বুঝতে পারি।’ ইটোবিকো-লেকশোর থেকে এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম বলেন, আমি একজন হাইস্কুল শিক্ষক, পেশাদার রাজনীতিক নই। কিন্তু কভিড মহামারিতে আমার ছাত্রছাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা দেখে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফারহিন আলিম বলেন, নির্বাচিত হলে অভিবাসী, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চাই।

সর্বশেষ খবর