শনিবার, ৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সম্মাননা

জাপানের রাইজিং সান সম্মাননা পাচ্ছেন তিন বাংলাদেশি

শনিবারের সকাল ডেস্ক

জাপানের রাইজিং সান সম্মাননা পাচ্ছেন তিন বাংলাদেশি

বাঁ থেকে- আবুল কালাম আজাদ, আবদুল হক ও ডা. এখলাসুর রহমান

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিড় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। দুটি দেশের পতাকাতেও রয়েছে সাদৃশ্য। জাপানের সম্রাট অর্ডার অব রাইজিং সান সম্মাননা দিয়ে থাকেন। এ বছর জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন তিন বাংলাদেশি। জাপান সরকার এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে। ঢাকায় দেশটির দূতাবাস এ খবর প্রকাশ করে। সম্মাননার জন্য মনোনীত বাংলাদেশিরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (জেবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল হক এবং ইয়ামাগা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এখলাসুর রহমান।

এর মধ্যে ‘দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গড অ্যান্ড সিলভার স্টারস’ পুরস্কার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ। দূতাবাস বলছে, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক মিথষ্ক্রিয়া ও পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরিতে বিশেষ ভূমিকার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের মধ্য থেকে জাপানের বিগ-বি উদ্যোগের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রকল্প এগিয়ে নিতে এবং দুই দেশের মধ্যে জোরালো উন্নয়ন অংশীদারিত্ব তৈরিতে এই আমলা ভূমিকা রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানি মুদ্রা ইয়েনের হিসাব অনুযায়ী ঋণগ্রহীতা হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে। জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (জেবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল হক পাচ্ছেন ‘দ্য অর্ডার অব রাইজিং সান, গোল্ড রেইজ উইথ রোজেট’ সম্মাননা।

জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, হক’স বে অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হক দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। জাপানি কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশ তৈরি এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে তার ভূমিকার কথাও স্মরণ করেছে দূতাবাস।

চিকিৎসা খাতে জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখার জন্য ‘দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রেইস’ সম্মাননা পাচ্ছেন ডা. এখলাসুর রহমান।

জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ইয়ামাগাতা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিন থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি নেওয়ার পর জাপানের বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেন ডা. এখলাস। এ সময় চিকিৎসার জাপানি ধরন স্বদেশে চালুর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হন তিনি।

“এরপর দেশে ফিরে তিনি ইয়ামাগাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাংলাদেশি অনেক তরুণ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেন।” বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানিদের চিকিৎসা দেওয়ায় ডা. এখলাসের হৃদ্যতার প্রশংসা করেছে জাপানি দূতাবাস। ১৮৭৫ সালে জাপানের মেইজি সম্রাট অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এটি জাপান সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা।

সর্বশেষ খবর