আমের বাণিজ্যিক রাজধানী নওগাঁয় এবার দেশের প্রথমবারের মতো ২৩ জাতের বিদেশি আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জাতের আম রঙিন। লাল ও খয়েরি রঙের মিশ্রণে ছোট ছোট গাছে ঝুলছে আমগুলো। দেখে মনে হবে ইউরোপ বা আমেরিকার বাগানের আম। গত বছর আম রুপালি ও বানানা ম্যাংগো বিদেশে গেলেও এবার ওইসব বিদেশি রঙিন জাতের আমগুলো রপ্তানি হবে বিদেশে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি আম চাষের উপযোগী হওয়ায় দেশি-বিদেশি সব জাতের আমের চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে।
বিদেশি রঙিন সফল আম চাষি সোহেল রানা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে ৭০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে নওগাঁর সাপাহারে গড়ে তোলেন বরেন্দ্র এগ্রো পার্ক। ইতালি থেকে এক বন্ধুর সহযোগিতায় ২৩ জাতের বিদেশি আমের চারা সংগ্রহ করেন তিনি। আর সেখানে ১৩ জাতের রঙিন আম ধরেছে তার বাগানে। গত তিন বছর ধরে নিজের চেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের 
সহযোগিতায় এমন সফলতা লাভ করেছেন। বাহারি রঙের আমের চাহিদা ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে রয়েছে। বাংলাদেশেও এই আমের কদর রয়েছে। এ বছর বাণিজ্যিকভাবে গাছগুলোতে ধরেছে বাহারি রঙের আম। গত বছর বেশ কিছু আম ইংল্যান্ড ও কাতারে পাঠালেও এবার বিদেশি রঙিন আমগুলো ইংল্যান্ড, সুইডেন, ইতালি, থাইল্যান্ড, মেক্সিকোতে রপ্তানি করবেন। নিজের চেষ্টা ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন সফলতা পেয়েছেন তিনি। বাগানে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করছেন। তাকে দেখে অনেক শিক্ষিত যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তাই তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। বাহারি রঙের আমগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু। এ বছর দেশি আমের পাশাপাশি বিদেশি আম চাষ করে হয়েছেন সফল। তিনি আরও বলেন, একটি আম এক একটি দেশে বিখ্যাত। আর এই আমগুলো আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। এই আমগুলো বাহিরের দেশে এক্সপোর্ট করা হলে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তার বাগানে লাল ও খয়েরি রঙের মিশ্রণে ছোট ছোট গাছে ঝুলছে অস্টিন, রেড পালমার, মিয়াজাকি, ব্ল্যাকস্টোন, গ্লেইন, রেড এমপেরর, রেড আইভরি, ক্যানসিংটন প্রাইড, কেইট, ব্যানানা ম্যাংগো, কিউজাই, কেন্ট ও আপেল ম্যাংগো। এই ১৩ জাতের বিদেশি রঙিন আমসহ মোট ২৩ জাতের আম রয়েছে তার বাগানে। বাহারি নামের এসব আম সবই বিদেশি জাতের।
