শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

আল আমিনের অন্যরকম সাফল্য

সফলতার কোনো শর্টকাট নেই, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে

শনিবারের সকাল ডেস্ক

আল আমিনের অন্যরকম সাফল্য

বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশের আল আমিন হোসেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে থাইল্যান্ডে ‘আগোডা’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি আল আমিনকে চাকরির বিষয়টি জানায় অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন কার্যালয়ে অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিস দলে কাজ করবেন। আগামী নভেম্বরে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অ্যামাজনে যোগ দেওয়ার কথা আছে তাঁর। আল আমিনের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়। আনোয়ার হোসেন ও ফেরদৌসী আক্তার দম্পতির বড় সন্তান তিনি। তাঁর আরও দুই ভাই রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

আল আমিন বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে চাকরি করার, যেখানে আমার কাজের পরিধি আরও বড় হবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আশফাক সালেহিন অ্যামাজনে আবেদন করতে উৎসাহ দেন। আমার তেমন প্রস্তুতি ছিল না। অভিজ্ঞতা নেওয়ার উদ্দেশেই আবেদন করি। সৌভাগ্যবশত প্রথমবারেই অফার পেয়ে গেছি। ১ জুলাই অ্যামাজন থেকে ফোন দিয়ে চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’ চাকরি পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে আল আমিন বলেন, অ্যামাজন বিশ্বের চারটি বড় কোম্পানির একটি। সেখানে চাকরি পাওয়া সত্যিই আনন্দের। এটিকে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের একটা দারুণ সূচনা হিসেবে দেখছেন। পথচলার প্রতিটি ধাপে অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আল আমিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ওয়ালটনে ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। এক বছর কাজ করার পর থাইল্যান্ডের ‘আগোডা’ নামক প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে ব্যাংককে চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান আল আমিন। তিনি মনে করেন, দেশের উন্নয়নের জন্য গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার মান ভালো হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সময়মতো দেশে ফিরে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান তিনি। নতুনদের উদ্দেশে পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ডাটা স্ট্রাকচার- এলগরিদম, কম্পিউটার সায়েন্স এর ফান্ডামেন্টালস নিয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। সফলতার কোনো শর্টকাট নেই, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তবে হতাশ হওয়া যাবে না। আমার ধারণা কোডিং স্কিল সবসময় চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ধরে এফোর্ট না দিলে উন্নতিটা বোঝা যায় না।  এ সময়টা কষ্ট করে লেগে থাকতে পারলে তার পরের পথচলাটা সহজ হয়ে যায়।’

সর্বশেষ খবর