শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
অন্টারিও পার্লামেন্ট

বিরোধীদলীয় উপনেতা হলেন বাংলাদেশি ডলি

শনিবারের সকাল ডেস্ক

বিরোধীদলীয় উপনেতা  হলেন বাংলাদেশি ডলি

কানাডার অন্টারিও প্রদেশে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত বাংলাদেশি এমপি ডলি বেগম। যার জন্ম বাংলাদেশে হলেও বেড়ে ওঠা কানাডায়। সম্প্রতি দেশটির অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় উপনেতা হয়েছেন এই বাংলাদেশি। ১৩ জুলাই এনডিপি দলের এবং অন্টারিওর সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে ডলি বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডলি বেগম কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি বংশো™ূ¢ত যিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জুন মাসে প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ওই নির্বাচনের পর দলের নেতা এন্ড্রিয়া হারওয়াথ পদত্যাগের ঘোষণা দিলে এই পদে ডলি বেগমের নাম আলোচনায় আসে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে ডলি বেগমকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হয়। সিপি২৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকার নানা সমস্যা এবং স্কারবোরোর বাসিন্দাদের প্রয়োজনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। পরবর্তীতে তার দল এনডিপি তাকে দলের উপনেতা এবং প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়।

এক প্রতিক্রিয়ায় ডলি বেগম বলেন, কুইন্সপার্কে (প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে) অন্টারিওর সব নাগরিকের বক্তব্য কার্যকরভাবে তুলে ধরা এবং সেগুলো শুনতে সরকারকে বাধ্য করতে তিনি সক্রিয় থাকবেন।

ডলি বেগমের এই দায়িত্ব প্রাপ্তিকে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা। এতে কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন তারা। ডলি বেগম  টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল বাংলাদেশ। অন্টারিও প্রাদেশিক ক্যাম্পেইন সমন্বয়ক হিসেবে সরব ছিলেন কিপ ‘হাইড্রো পাবলিক’ প্রচারাভিযানে। যারা সফলভাবে টরন্টো হাইড্রো এবং ওয়াসগা বিতরণের ব্যক্তিগতকরণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। 

এ ছাড়াও প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়নে। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ, অন্টারিও ভলান্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, সিটি অব টরন্টো স্পটলাইটসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন নিজের সামাজিক কাজের জন্য। এসব সাফল্যকে বুকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান ডলি বেগম।

 ডলি বেগমের বাবার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। তার জন্ম হরিণাচং গ্রামে। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শিশুকালেই কানাডায় যান তিনি। ডলির শৈশব কেটেছে বাজরাকোনা আর হরিণাচং নামক দুই গ্রামে। শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো চকচকে বলে জানান তিনি। বাজরাকোনা গ্রাম থেকে উঠে আসা কিশোরী ডলি গড়েছেন নতুন ইতিহাস।

সর্বশেষ খবর