উন্নত প্রযুক্তি আর দৃষ্টিনন্দন কারুশৈলীতে রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’। এ ট্রেনের দুটি বগিকে রূপান্তরিত করা ডিজিটাল জাদুঘরের কক্ষটি আসলে ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী বগি। এখানে ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, জীবনকাল আর সংগ্রামী ইতিহাস। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এটি। তবে রেলওয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কর্তারা বলছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ। ট্রেনটি আগস্ট মাস থেকে সারা দেশ ঘুরবে। প্রান্তিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাথা ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের সূচনা।
এই ট্রেনের দেয়ালজুড়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ সব ছবিও রয়েছে, আছে তাঁর ব্যবহৃত চশমা, প্রিয় তামাক পাইপ আর মুজিব কোটের প্রতিরূপও। বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা চিঠি আর বইও শোভা পাচ্ছে জাদুঘরে। দেশ-বিদেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণও আছে এতে। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫-ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ের যেন জীবন্ত প্রামাণ্য দলিল এ জাদুঘর। দেশের সবকটি রেলস্টেশনে নির্ধারিত দিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্ক্রিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধুর ছবি, ভাষণ, জীবনাচারের বিভিন্ন বিষয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে তৈরি করা এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর তৈরির মূল ভূমিকায় ছিলেন রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মনজুরুল আলম চৌধুরী।
