শিরোনাম
শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পানির নিচে অনুসন্ধানে দেশি রোবট

ব্র্যাকইউ ডুবুরির এ পর্যন্ত চারটি ভার্সন বা সংস্করণ রয়েছে। প্রতিটি সংস্করণেরই রয়েছে আলাদা সক্ষমতা। কোনোটি হয়তো বেশি গভীরতায় যেতে পারে, আবার কোনোটি খুবই দ্রুতগতিতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে

শনিবারের সকাল ডেস্ক

পানির নিচে অনুসন্ধানে দেশি রোবট

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সম্মানজনক রোবোসাব-২০২২ প্রতিযোগিতায় আউটস্ট্যান্ডিং রুকি টিম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’। স্বয়ংক্রিয় ডুবো-রোভার তৈরি করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে দলটি। লঞ্চ দুর্ঘটনাসহ নৌপথের নানা সমস্যার সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে কাজ করছে ব্র্যাকইউ ডুবুরি। এর শুরু হয়েছিল রোবটিকস ক্লাব অব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি প্রজেক্ট হিসেবে। এই ক্লাবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে রোবটিকস ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রজেক্ট করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে রোবটিকস ক্লাবেরই কয়েকজন মিলে লঞ্চডুবির উদ্ধারকাজে জটিলতা নিরসনে কী করা যায় ভাবতে শুরু করেন। তখন ডুবুরির মতো একটি রোবটের কথা তারা চিন্তা করেন। এই রোবট আধুনিক কিছু সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ ডুবুরির চেয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। এ লক্ষ্যে গবেষণা শুরু করে তারা প্রথমে খুঁজতে থাকেন পৃথিবীর আধুনিক দেশগুলোতে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ রকম আন্ডারওয়াটার রোভার তৈরি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি রিমোট কন্ট্রোলড আন্ডারওয়াটার রোভার (পানির নিচে চলা নৌযান) তৈরি করা। তারা প্রাথমিকভাবে এতে সফল হন। এরপর মনোযোগ দেন রোবটটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত করায়। ফলে কোনো ধরনের রিমোটের সাহায্য ছাড়া দুর্গম পরিস্থিতিতেও যান্ত্রিক ডুবুরিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারবে। পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, যেমন- এসএইউভিসি ও রোবোসাবেও অংশগ্রহণ করে ব্র্যাকইউ ডুবুরি।

বর্তমানে এই দলের শিক্ষক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মেন্টর সায়ন্তন রায় অর্ক এবং দলনেতা নাঈম হোসেইন সৈকত। সহযোগী উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন আদনান সাব্বির, মোহাম্মদ সৌরভ ও শোয়েব আহমেদ। জেনন, মিশু, ফাহিম, রাফিও, অনিক, জায়েব, আরমান, ওমর, সৌরভ, রাফি, মায়ামি, অমি, মাহদি, মাইনুর, বেলায়েত, মুন্তাসির, প্রাপ্তি, রাতুল, আকবর, সৌনকসহ ব্র্যাকইউ ডুবুরি এখন ৩০ জনের দল।

বিভিন্ন রকমের পরিস্থিতিতে এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য ডুবুরিতে তারা অনেক ধরনের সেন্সর ও মডিউল ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে অপেক্ষাকৃত কম আলোতে এবং ঘোলা পানিতে ভালোমতো দেখার জন্য ব্র্যাকইউ ডুবুরির মধ্যে রয়েছে লো লাইট ক্যামেরা। স্রোতযুক্ত পানিতে যাতে ভালো মতো কাজ করতে পারে সে জন্য এতে আছে আটটি অত্যাধুনিক ব্রাশলেস থ্রাস্টার। এসবের মধ্যে চারটি ব্যবহারের মাধ্যমে পানির গভীরে যাওয়া যায়, আবার গভীর থেকে ওপরে উঠে আসা যায়। বাকি চারটি ব্যবহার করা হয় চলাচলে, যেমন- ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার জন্য।

সর্বশেষ খবর