বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

মিডিয়া এথিকস্ : আজকের প্রেক্ষাপট

আসিফ নজরুল

মিডিয়া এথিকস্ : আজকের প্রেক্ষাপট

যে কোনো সরকারের তিনটি অঙ্গ রয়েছে। নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগ। অনানুষ্ঠানিক একটি জবাবদিহি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংবাদমাধ্যমকে সরকার বা রাষ্ট্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মর্যাদা রক্ষার জন্য তাই সাংবাদিকদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হয়। এ চিন্তা থেকে মিডিয়া এথিকস্ বহুদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।

মিডিয়া এথিকসের মূলকথা হচ্ছে সততা, সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতাবোধ। সততার প্রকাশ ঘটে সংবাদের নির্ভুলতা ও বস্তুনিষ্ঠতার মধ্যে। সাংবাদিকতায় নির্ভুলতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ জন্য সংবাদ প্রকাশ বা প্রচারের আগে এটি বারবার খতিয়ে দেখতে হবে, অনুমানভিত্তিক তথ্য দেওয়া যাবে না। তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকলে বা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে তা বাদ দিতে হবে বা বলে দিতে হবে যে, তথ্যটি অসমর্থিত সূত্রের।

ইন্টারনেটের যুগে এটি অনেক বড় একটি ইস্যু। এখন সারাক্ষণই সংবাদ আপডেট হচ্ছে, দ্রুততার সঙ্গে নির্ভুলতা রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাই বলে ব্রেকিং নিউজের নামে যাচাই না করে খবর দেওয়া যাবে না। কারণ এতে বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ হয়, মানুষের ক্ষতি হয়। বিশ্বাসযোগ্য ছাড়া কোনো সংবাদমাধ্যম তার সাফল্য ধরে রাখতে পারে না।

সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকাংশে নির্ভর করে সোর্সিংয়ের ওপর। তাই সাবধানতার সঙ্গে সোর্স বাছাই করতে হবে এবং যতটা সম্ভব নাম-পরিচয়হীন সোর্সের উল্লেখ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- বিশ্বস্ত সূত্রের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানিয়েছেন- এগুলো সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেয়। যেসব ক্ষেত্রে সোর্সের কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকে অথবা ওই সোর্স ছাড়া অন্য কোথাও এ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, শুধু সেসব ক্ষেত্রে এমন সোর্সের সাহায্য নেওয়া যায়।

মিডিয়া এথিকসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা। কোনো ঘটনা যেভাবে ঘটেছে হুবহু সেভাবে উপস্থাপন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করাকে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বলে। সংবাদে পরিবেশিত তথ্য ও বক্তব্য বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। রিপোর্টে প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত কোনো মতামত, বিশ্বাস বা মূল্যবোধের প্রতিফলন থাকা যাবে না।

সাংবাদিক কোনো ঘটনাকে নিজস্ব আবেগ বা পছন্দ নিয়ে দেখবেন না। তিনি নির্মোহ উপস্থাপক থাকার চেষ্টা করবেন। সাধারণ মানুষ যখন একটি ঘটনা দেখে বা শোনে তা নিজেদের আবেগ, মূল্যবোধ, বিবেক দিয়ে বিচার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেভাবেই এটি প্রকাশ করে। কিন্তু সাংবাদিকের সাধারণ মানুষের মতো হলে চলবে না। তিনি কোনো ঘটনাকে তার আদর্শ, পছন্দ, মূল্যবোধ, বিবেক দিয়ে বিচার করবেন না। একজন সাংবাদিক যখন তার পেশার ক্ষেত্রে কোনো পক্ষাবলম্বন করেন না, তখন তার কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আশা করা যায়। আর এভাবেই সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হয়ে উঠতে হয়।

সাংবাদিকের কাছে শুদ্ধাচারও কাম্য। গুপ্তচরবৃত্তি সাংবাদিকের কাজ নয়। সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থাকবেন যতক্ষণ পর্যন্ত গতানুগতিক পদ্ধতিগুলো কাজ করে এবং জনগণের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের ওয়াচ ডগ বলা হয় সাংবাদিকদের। এ ভূমিকা নিশ্চিত করাকে কর্তব্য হিসেবে উপলব্ধি করবেন সাংবাদিকরা।

২.

সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ থাকতে হলে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি বা প্রলোভনের বাইরে থাকতে হবে। সংবাদ প্রকাশে ভয়ভীতি থাকলে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা বিনষ্ট হয়। সাংবাদিকদের স্বার্থের দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে হবে। যে কোনো ধরনের উপহার, সুবিধা, বিনামূল্যে ভ্রমণ প্রস্তাব গ্রহণ, রাজনৈতিক কার্যকলাপ সাংবাদিকের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে।

তথ্য পাওয়ার জন্য সাংবাদিককে তার সোর্সের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও স্বাভাবিক সৌজন্য রক্ষা করে চলতে হবে। তবে সোর্সের সঙ্গে পেশাগত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সোর্সের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেন সংবাদ বা সাংবাদিকের মনোভাবকে অনাকাক্সিক্ষত উপায়ে প্রভাবিত  না করে সে ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অর্থ বা যে কোনো সুবিধার বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার প্রস্তাবকারী সোর্সের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। সংবাদ ও বিজ্ঞাপনের পার্থক্য বুঝতে হবে। কোনো সংবাদ আসলেই সংবাদ হওয়ার যোগ্য কি না বা তা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করছে কি না তা জানা জরুরি।

সাংবাদিকদের মানবিক বোধ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কোনো পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের মানবিক হওয়ার প্রয়োজন আছে। কাটতি বাড়াতে গিয়ে চটকদার, মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন পেশাদারির পরিপন্থী। অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যৌন অপরাধের শিকারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা দেখাতে হবে। ককটেল হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া ব্যক্তির কাছে ‘ঘটনার বিবরণ’ জানতে চাওয়া যায় না।

মনে রাখতে হবে, কোনো তথ্যলাভে আইনগত বাধা না থাকা মানেই তা প্রচার করা নৈতিক হয়ে যায় না। ব্যক্তিগত যে কোনো তথ্য প্রচারের আগে তার ফল ও পরিণতি কী হতে পারে নিরূপণ করা উচিত।

সাংবাদিকদের অবশ্যই জেন্ডার-সংবেদনশীল হতে হবে। যে কোনো ধরনের যৌন নির্যাতন বা হয়রানির ক্ষেত্রে ভিকটিমের নাম, পরিচয়, ছবি কোনোভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। শিশুদের সংশ্লিষ্ট যে কোনো সংবাদ প্রকাশে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৩.

অনেকে ভেবে থাকেন সাংবাদিকরা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। তিনি জবাবদিহি করবেন শুধু তার পাঠকের কাছে। জবাবদিহি এমন অনির্দিষ্ট ও অস্পষ্ট হতে পারে না। এ জন্য সংবাদের যথার্থতা, নিরপেক্ষতা, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হলে যত দ্রুত সম্ভব তাতে সাড়া দিতে হবে, ব্যাখ্যা করতে হবে। রিপোর্টে কাউকে অভিযুক্ত করা হলে তাতে অবশ্যই সেই অভিযুক্তের বক্তব্য থাকতে হবে। রিপোর্টে বিবদমান একাধিক পক্ষের উল্লেখ থাকলে অবশ্যই সব পক্ষের বক্তব্য সেখানে থাকতে হবে।

মাঝেমধ্যে বিচারাধীন মামলা নিয়েও গণমাধ্যমের অতি উৎসাহ দেখা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির খবর, ছবি গণমাধ্যম এমনভাবে দিনের পর দিন প্রকাশ করতে থাকে যে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি’ ও ‘দোষী প্রমাণিত ব্যক্তির’ মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। অভিযুক্ত ব্যক্তি মামলার রায়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেন। সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়া বিচার চলাকালে যেভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিডিয়ায় উপস্থাপন করে, তাতে ওই ব্যক্তির সম্মানহানি হয় এমনকি তা বিচারককেও প্রভাবিত করতে পারে। কেউ খুন হলে অভিযুক্ত খুনির পরিবারের পরিচয় এবং ছবি কোনো কোনো গণমাধ্যমে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল করার প্রচেষ্টা দেখা যায়। ফৌজদারি অপরাধ ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অভিযুক্ত বা অপরাধীর পরিবারের সদস্যদের মানসিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না।

গণমাধ্যমের যে কোনো ধরনের ভুল স্বীকারের মনোভাব থাকতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সুস্পষ্টভাবে তা সংশোধন করতে হবে। প্রকাশিত সংবাদের যদি কোনো প্রতিবাদ জানানো হয় তবে তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে এতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যাও যুক্ত করা যেতে পারে। সংশোধনের ব্যাখ্যা যথেষ্ট সাবধানতা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে দিতে হবে।

সাংবাদিকদের জন্য নীতিনৈতিকতাবিষয়ক বৈশ্বিক সনদ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে)-এর ৩০তম আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে ২০১৯ সালের  ১২  জুন  সাংবাদিকদের জন্য নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক বৈশ্বিক সনদ  গ্রহণ  করে। এটি ১৯৫৪ সালে পাস  হওয়া একটি পূর্ববর্তী ঘোষণার ভিত্তিতে রচিত। সনদটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষ করে মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্রের ওপর ভিত্তি  করে  তৈরি  করা। এতে একটি প্রস্তাবনা ও ১৬টি অনুচ্ছেদে সাংবাদিকদের  নীতিনৈতিকতাবিষয়ক দায়িত্ব ও অধিকার লিপিবদ্ধ আছে।

বাংলাদেশেও সংবাদমাধ্যমে কর্মরতদের জন্য বিভিন্ন এথিকাল ডকুমেন্ট রয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ২০২০ সালে এ ধরনের একটি অনুসরণীয় আচরণবিধি তৈরি করেছে। এ ছাড়া কিছু খ্যাতনামা দৈনিক পত্রিকা গত তিন-চার বছরে তাদের সাংবাদিকদের জন্য বিশদ নীতিমালা প্রকাশ করেছে। আধুনিক, বিস্তারিত এবং উন্নত এসব নীতিমালায় প্রেস কাউন্সিলের আচরণবিধি, আন্তর্জাতিক মানদন্ডগুলো এবং মানবাধিকার নীতিমালা অনেকাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।

৪.

বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবাধ প্রসারের কারণে মিডিয়া এথিকস্ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ডিজিটাল নিউজ মিডিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইন সাংবাদিকতা, ব্লগিং, ডিজিটাল ফটোজার্নালিজম, নাগরিক সাংবাদিকতা এবং সামাজিক মিডিয়া। পেশাদার সাংবাদিকরা এসব মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। এসব অনেক মিডিয়ার রিচ অনেক বেশি, শেয়ার করার সুযোগ বেশি। ফলে এখানে কোনো ভুল বা ক্ষতিকর তথ্য প্রকাশ পেলে সমস্যা হয় বেশি।

আমাদের মনে রাখতে হবে, অনলাইনে তথ্য প্রচার করার সময় আবহমানকাল ধরে চলা নৈতিক নীতিগুলো পরিবর্তিত হবে না। তবে এই নতুন ডিজিটাল পরিবেশ ইন্টারেকটিভ এবং তাৎক্ষণিক হওয়ায় সাংবাদিকদের জন্য বেশ কিছু নৈতিক দ্বিধা তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যেখানে তাৎক্ষণিক সংবাদ এবং বিশ্লেষণ সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু কীভাবে অনলাইনগুলো নাগরিকদের থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে পারে তা এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

অজ্ঞাতনামা সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদ মূলধারার সংবাদমাধ্যমের চেয়ে অনলাইনে সহজেই গৃহীত হয়। মূলধারার সংবাদমাধ্যম অজ্ঞাতনামা সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদ প্রকাশে অতিরিক্ত সতর্কতা  অবলম্বন  করে যাতে  কেউ  ব্যক্তিস্বার্থে  অপব্যবহার  না  করতে  পারে। কিন্তু তাৎক্ষণিক এবং চমকপ্রদ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ মিডিয়া প্রায়ই ভুল করে থাকে।

অনলাইন হোক আর প্রথাগত সংবাদমাধ্যম হোক, কোনোটিই নীতিনৈতিকতার ঊর্ধ্বে নয়। নীতিহীন সাংবাদিকতা বা নৈতিকতাবিবর্জিত সাংবাদিকতা অল্প সময় বা অল্প ব্যক্তির জন্য লাভজনক হতে পারে। কিন্তু তা কখনো বৃহত্তর মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।

সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। মানুষের দুঃখ-কষ্ট, অন্যায়-অবিচার এখানে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এভাবেই জনমত তৈরি হয় এবং শাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এ পেশার শক্তি হচ্ছে এর বস্তুনিষ্ঠতা। ব্যক্তিস্বার্থে এ শক্তিকে বিসর্জন দেওয়া কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। আর এ শক্তিকে লালন করার ক্ষেত্রে মিডিয়া এথিকসের অনুশীলন বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।

লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ খবর