প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভার্চুয়ালি পটুয়াখালীর পায়রা সেতু উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের পথ খুলবে। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে দুমকী উপজেলার লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ সেতুর উদ্বোধন ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা সেতু দেখতে মানুষের ভিড় জমেছে। পায়রা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে আরেক ধাপ এগোবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু উদ্বোধন করবেন। এক সময় সড়কপথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা যেতে ১০টি নদীতে ফেরি পারাপার করতে হতো। তবে এখনো দুটি নদীতে ফেরি পারাপার হতে হয়। একটি পদ্মা, অন্যটি পায়রা। নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।পায়রা সেতু প্রকল্প সূত্র জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী এলাকার পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা সেতু। এ সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যতিক্রম। চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি নির্মিত হচ্ছে এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেইড প্রযুক্তিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুও এই প্রযুক্তিতে নির্মিত। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত থাকবে।