লেবুখালী পায়রা সেতু পটুয়াখালী, বরিশাল, বরগুনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। পদ্মা সেতু চালু হলে সেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় যোগ হবে আরেকটি নতুন পালক। তখন চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকা হয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল মিলবে ফেরিবিহীন একই মহাসড়কে। কমে যাবে দূরত্ব, বাঁচবে সময়। এতে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লেবুখালী সেতুটি নির্মাণে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা যাতায়াতে সময় সাশ্রয় হবে অন্তত দুই-তিন ঘণ্টা। অপেক্ষা করতে হবে না ফেরিঘাটে। সূত্র মতে, ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার ও কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। সেতুটি চালু হলে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যেতে সময় লাগবে ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা। সাত ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। সহজে যাওয়া যাবে বরগুনাতেও। সেতু চালুর আগে এ দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় আরও দুই-তিন ঘণ্টা বেশি লাগত। পদ্মা সেতু চালু হলে ভ্রমণ সময় কমে আসবে আরও দেড়-দুই ঘণ্টা। এদিকে এক সময় বরিশাল থেকে কুয়াকাটা ১০৮ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ফেরি ছিল ছয়টি। সড়কও ছিল নাজুক। সময় লাগত আট ঘণ্টার বেশি। সড়ক সংস্কার ও পাঁচটি সেতু আগে চালু হওয়ায় যাত্রা সময় নেমে আসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায়।