শিরোনাম
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হবে পেগাসাস মোটরসাইকেল

সেলিম উল্যা সেলিম : - পরিচালক মার্কেটিং, যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হবে পেগাসাস মোটরসাইকেল

দেশীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করছে যমুনা গ্রুপের উৎপাদিত পেগাসাস ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল শিল্পে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের মানুষ সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের মোটরসাইকেল কিনতে চান, সে চাহিদার কথা ভেবেই যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় পেগাসাস মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন শুরুর প্রথম দিন থেকেই একজন ব্যবহারকারী তার মোটরসাইকেলটি থেকে যেসব সুবিধা পেতে চান, যেমন; জ্বালানি কিংবা দামে কতটুকু সাশ্রয়ী, আরামদায়ক এবং বাংলাদেশের রাস্তায় ব্যবহার উপযোগী কি না এসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও জরিপ কার্য পরিচালনা করে সেই অনুযায়ী বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পেগাসাস মোটরসাইকেল বাজারজাত করে।

সার্বিক কার্যক্রম, দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের বিভিন্ন নিয়ে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্কেটিং) সেলিম উল্যা সেলিম। তিনি বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস সবসময় বিশ্বাস করে গ্রাহক সন্তুষ্টি। গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনা নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি আমাদের ব্যবসার বড় মূলধন। গ্রাহকদের চাহিদা মিটলেই কিংবা তারা হাসলেই আমাদের ব্যবসা এগিয়ে যাবে। তাই আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করছি। এদেশের রাস্তায় চলাচলের উপযোগী পেগাসাস মোটরসাইকেল উৎপাদনের শুরু থেকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চাহিদানুসারে বিভিন্ন মডেল ও দামের পেগাসাস মোটরসাইকেল রয়েছে। তিনি বলেন, দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্পের প্রসার ঘটাতে নিরলস প্রচেষ্টা রয়েছে আমাদের। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্বয়ংসম্পূর্ণ কারখানা স্থাপন করে। বাংলাদেশে বিদ্যমান মোটরসাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদনক্ষম কারখানা সৃষ্টিতে সরকারও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দৈনিক ৫০০ ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন যমুনার নিজস্ব কারখানায় দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

সেলিম উল্যা বলেন, করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এই শিল্প বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য খাতের মতো বাজারজাতকরণের জটিলতা তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতি এখন কাটিয়ে উঠছি। আশার কথা হচ্ছে যে, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যানজট ও চলাচলের সুবিধা থাকায় মোটরসাইকেল বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় বাহন। শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব পদক্ষেপ এবং রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুমোদনের ফলে বাজারে মোটরসাইকেলের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলসের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন নতুন ক্রেতাবান্ধব নীতির মাধ্যমে দেশের সর্বত্র পেগাসাস ব্র্যান্ডটি পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর। পেগাসাস ব্র্যান্ডের মোটরবাইক বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিগত দিনগুলোতে যমুনা শুধু নিজস্ব শোরুমের মাধ্যমে পেগাসাস মোটরসাইকেল বিক্রয় করে আসছিল। বর্তমানে দেশব্যাপী পরিবেশক নিয়োগের মাধ্যমে পেগাসাস মোটরসাইকেল দেশের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে আনুমানিক ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করেছে। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা হবে। মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্ক আরও কমানো হলে এবং খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হলে এই শিল্প আরও দ্রুতগতিতে প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর