শিরোনাম
শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক জনমে অভিনেতা হওয়া যায় না

এক জনমে অভিনেতা হওয়া যায় না

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তিতুল্য চলচ্চিত্রকার আলমগীর। ১৯৭২ সালে অভিনয়ে এসে প্রায় চার দশকে ২৩০টি ছবিতে অভিনয়,

৭টি ছবি নির্মাণ এবং ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এবারের শোবিজ আড্ডায় ব্যক্তি ও চলচ্চিত্রজীবন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ ছবি : রাফিয়া আহমেদ

 

বৈশাখী খরতাপের রুক্ষ প্রকৃতি ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে বাইরে সবখানে। যানজটের যন্ত্রণা ঠেলে গাড়ি ছুটে চলেছে বারিধারা ডিওএইচএসের একটি অফিস অভিমুখে। এই অফিসের মধ্যমণি হলেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার আলমগীর। তার মুখোমুখি হতেই  বৈশাখের রুক্ষ প্রকৃতি যেন নিমেষেই শীতল হয়ে গেল। প্রচ- ব্যক্তিত্বের আধার শান্ত সৌম্য এই মানুষটি যখন কথা বলা শুরু করলেন তখন পরিবেশে অলৌকিক স্বস্তি ফিরে এলো।

 

উত্তম কুমারের অনুপ্রেরণায় অভিনয়ে এসেছি

অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন সবার মতো আমারও ছিল। তবে আমি গায়ক হতে চেয়েছিলাম। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল আমি ডাক্তার হই। এক সময় ছবিতে প্লে-ব্যাক করতে চলচ্চিত্রনির্মাতা সফদর আলী ভূঁইয়ার অফিসে গেলাম। তিনি আমাকে গাইতে বললেন। চোখ বন্ধ করে গাইলাম। তিনি বললেন, তোমার এক্সপ্রেশন খুব সুন্দর। তুমি চেষ্টা করবে নায়ক হতে। ছোটবেলায় দিলীপ কুমার, উত্তম কুমার আর পরে রাজ্জাক সাহেবের ছবি দেখতাম। উত্তম কুমারের স্টাইল, ফ্যাশন, কথা বলার ভঙ্গিমা বেশ ভালো লাগত। বলতে পারি উত্তম কুমারের অনুপ্রেরণায় অভিনয়ে এসেছি। তবে উত্তম কুমার হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। চলচ্চিত্রে আসার ১০/১৫ বছর পর ঝুঝতে পারলাম উত্তম কুমার হওয়ার চেষ্টা করা যায় কিন্তু হওয়া যায় না। কারণ উত্তম কুমার ইজ ওয়ান পিস।

 

জেদ করেই সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা করি

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়ায় আমি জেদ করেই তার সঙ্গে দেখা করি। এদিক থেকে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ মহানায়িকা অন্তরালে চলে যাওয়ার পর আর কেউ তার সাক্ষাৎ পাননি। আমার কথা ছিল উনি দেখা করবেন না কেন? যাক সাম হাউ তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। তিনি বাংলাদেশের মরণ চাঁদের দই খেতে চেয়েছিলেন। সেই দই পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরও দুবার তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি শর্ত দিয়ে বলেছিলেন তার সম্পর্কে বাইরে কিছু বলা যাবে না আর ছবি তোলা যাবে না। তাকে একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেছিলাম। কেন তিনি একাকী জীবন বেছে নিলেন। তিনি বললেন, আমি তো আগেই বলেছি, ব্যক্তিগত কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তারপর জানতে চাইলাম অভিনয় করছেন না কেন? উত্তরে তিনি শুধু একটি শব্দ বলেছিলেন- ‘ডিরেক্টর কোথায়?’

 

রুনার রিকোয়েস্টে তার সঙ্গে অভিনয় করি

এই উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে ‘শিল্পী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ছবির নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম সাহেব যখন প্রস্তাব দেন তখন সঙ্গে সঙ্গে রিফিউজ করি। কারণ আমার সময় ছিল না। শেষ পর্যন্ত রুনা লায়লা নিজেই আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন। তার রিকোয়েস্টেই শেষ পর্যন্ত ‘শিল্পী’ ছবিতে অভিনয় করি।

 

আমি খুব গোছালো মানুষ

আমি খুব গোছালো একজন মানুষ। সুখ একটি আপেক্ষিক শব্দ। সুখের অর্থ কি? এর উত্তর কেউ জানে না। সুখের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। কারও জীবনে পূর্ণ প্রাপ্তি আসে না। পূর্ণতার জন্য শুধুই সাধনা করে যেতে হয়।

 

জনগণই আমাদের সবকিছু

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দর্শকপ্রিয়তা, দুটিই আমি পেয়েছি। দুটি দুরকম অর্থ বহন করে। দর্শকের ভালোবাসা হলো অনুপ্রেরণা। এতে কাজ নিয়ে পথ চলা সহজ হয়। জনগণ ছাড়া ব্যাসিক্যালি আমরা শূন্য। আর জাতীয় স্বীকৃতি প্রতিটি শিল্পীর পরম কাম্য। প্রত্যেকটি শিল্পীর জীবনে এই স্বীকৃতি বিশাল অবদান রাখে, দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। কিন্তু জনগণই আমাদের সবকিছু।

 

সাফল্য পেতে সাধনার বিকল্প নেই

পৃথিবীতে কোনো জিনিসই সহজ এবং সস্তা নয়। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতা পেতে সাধনার বিকল্প নেই। কাজ করতে হবে সিনসিয়ারলি। ছোটবেলা থেকে একটি জিনিস জেনেছি, আর তা হলো- গাছ যত বড় হয় গাছের ডালপালা তত ঝুঁকে যায়। কিন্তু আমরা যত বড় হই ততই যদি বড়াই করতে থাকি তাহলে সফল হতে পারব না। সাধনা হলো সাফল্যের সবচেয়ে বড় সোপান। সাধনা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, এসব কিছু মিলিয়ে হলো সাফল্য। এটি সবার জন্য এবং সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

 

আমি রাশভারি নই

আমি রাশভারি নই। সময় উপযোগী একজন মানুষ। যখন যেখানে যেমন পরিস্থিতি থাকে আমি সেই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারি। আমার সম্মানবোধ অনেক বেশি। যেখানে আমার সম্মান থাকবে না মনে হয় সেখান থেকে সব সময় দূরে থাকি।

 

টিকে থাকতে প্রতিযোগিতা চাই

প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অপরিহার্য। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদেশি ছবি আমদানি হলে প্রতিযোগিতায় গিয়ে অবশ্যই আমাদের ছবি উন্নত হবে। বাইরের ছবির বাজেট বেশি বলে আমরা অসম প্রতিযোগিতার কবলে পড়ব এ কথাটি ঠিক নয়। এক সময় আমাদের দেশে যখন ভারতের ছবি চলত তখন এখানে ১০/১২ লাখ টাকার ছবি নির্মাণ হতো। আর ভারতে তখন এক/দেড় কোটি রুপির ছবি হতো। তখন কি প্রতিযোগিতা হয়নি? তখন কি রহমান-শবনম এরা উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকেনি। রাজ্জাক সাহেব-কবরী কি মোহাম্মদ আলী-জেবার এগেইনস্টে নামেননি। তবে হিন্দি বা উর্দু ছবি, মানে যে ভাষার সঙ্গে আমাদের ভাষার মিল নেই তা এখানে চালাতে আমার আপত্তি আছে। কলকাতার ছবি আসতে পারে। আর কলকতার ছবি তো এখানে চলছে। আমাদের ছবি কলকাতায় যাচ্ছে। দুই বাংলার মধ্যে ছবি আদান-প্রদানে সমস্যার তো কিছু নেই।

 

সিনেমা হল নয়, ওগুলো গোডাউন

সিনেমা হলের সংখ্যা কম বলা হয়। আমি তো এগুলোকে সিনেমা হল বলি না, এগুলো হলো গোডাউন। ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, যশোরসহ কয়েকটি জেলা ছাড়া বাকি সবখানে সিনেমা হল মানে গোডাউন। তাদের নিজস্ব কোনো প্রজেক্টর নেই, পরিবেশ নেই। কিছু নেই। মানে আমাদের সিনেমা হল নেই। সরকার মেশিন দিতে চাচ্ছে। ১৫ বছরের কিস্তিতে দেবে বলে তারা সেই মেশিন নিতে আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু কেন? এখন যদি আমাদের ছবি টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে কলকাতার মার্কেট আমাদেরকে ধরতেই হবে। কারণ ওদের সিনেমা হল আছে। দুজন একই ভাষার লোক যদি আদান-প্রদান করে বেঁচে যেতে পারে, ব্যবসাটা যদি ঠিক করতে পারে তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

 

সহধর্মিণী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে একটি বিশেষ মুহূর্তে অভিনেতা-নির্মাতা আলমগীর

পরিবার নয়, ফেডারেশন চেয়েছি

আমি কখনো চলচ্চিত্র পরিবারের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম না। তাদের অনেক কাজ আমি সমর্থন করি না। কারণ টোটাল পরিবারের কনসেপ্টটা আমার পছন্দ ছিল না। আমার পছন্দ ছিল ফেডারেশন। কথায় কথায় শিল্পী-নির্মাতাদের বহিষ্কার, মন্ত্রী মহোদয়কে বহিষ্কার করা এগুলো কখনো পছন্দ করিনি। আমি প্রথম থেকেই জানতে চেয়েছি, পরিবারের সাংগঠনিক ভিতটা কী? কোনো ভিত ছিল না। আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি প্লিজ পরিবার না করে তোমরা ফেডারেশন কর। ফেডারেশনটা যদি করত তাহলে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হতো। কিন্তু তারা আমার কথা রাখেনি। চলচ্চিত্র জগতে এখন সবাই অতি বোদ্ধা। তবে আমি খুব আশাবাদী মানুষ। আমাদের চলচ্চিত্র আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবেই। রাতের পর দিন আসে, সেই আশায় আছি। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

 

ঐক্যবদ্ধ আলোচনা দরকার

আজকে গোডাউনগুলোকে কীভাবে আমরা সিনেমা হল বানাব। এখন সিনেমা হল মালিকরা থ্রেট করছে যে তারা সিনেমা হল বন্ধ করে দেবে। ওরা হল বন্ধ করবে কিন্তু যেগুলো ভালো হল আছে সেগুলো বন্ধ হবে না। পয়েন্টটা হলো আজ চলচ্চিত্রের এই বাজে অবস্থা কেন? তারা বলছে আমরা শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক সবাই এই অবস্থার জন্য দায়ী। সিনেমা হল মালিকরা কি দায়ী নন? অবশ্যই দায়ী। আমরা কনটেন্ট দিতেই চাই। কিন্তু তারা পরিবেশ ফিরিয়ে আনছে না। নির্মাতাকে ঠকাচ্ছে। এক সময় যখন চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হলো তখন এই হল মালিকরা প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থার অফিসে এসে কাটপিস চাইত। বলত এক্সট্রা পয়সা দেব কাটপিস দেন। এতে কি চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার জন্য ওরা কাজ করেনি। এখন যদি তারা বলে তারা ধোয়া তুলসীপাতা, তা ঠিক নয়। তাদের যেমন প্রটেকশন দরকার ঠিক তেমনি প্রযোজক পরিচালকদেরও প্রটেকশন দরকার। এখনো বলছি প্রদর্শক আর প্রযোজক মিলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার ফয়সালা করুন। প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে গিয়ে সমস্যার সমাধান করুন। তাহলেই চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হবে।

 

প্রদর্শক-প্রযোজক উভয়েরই দায় আছে

সিনেমা হল মালিকদের অবশ্যই নিজেদের চলচ্চিত্রের মানুষ ভাবতে হবে এবং প্রযোজকসহ চলচ্চিত্রের যারা মঙ্গল কামনা করে তাদের সঙ্গে বসে একটা হিসাব নিকাশ করতে হবে। যেখান থেকে সবার মঙ্গল বেরিয়ে আসবে এবং এই শিল্পটি বেঁচে যাবে।

চলচ্চিত্র পুরোপুরি বাণিজ্যিক বিষয় নয়। এটি একাধারে শিল্প এবং বাণিজ্যিক মাধ্যম। একটিকে বিসর্জন দিয়ে আরেকটি নয়। তাই শুধু প্রদর্শকদের দোষ দিলে চলবে না, প্রযোজকদেরও দায় আছে। এটি যে শিল্প ও বাণিজ্যিক মাধ্যম প্রযোজকদের সবার আগে তা মনে রাখতে হবে।

 

এখন সিনেপ্লেক্সের যুগ

বর্তমান সময়ে সিনেমা হল দিয়ে ব্যবসা চলবে না। কারণ এখন সিনেপ্লেক্সের যুগ। তাই আমাদের সিনেপ্লেক্স দরকার। অনেকের দাবি সরকারকে ৬৪ জেলায় সিনেপ্লেক্স করে দিতে হবে। এটি খুব সহজ নয়। সরকারের টাকাটা কোথায় খরচ হবে এবং কীভাবে উঠে আসবে সেটিই তো ঠিক করে বলা হচ্ছে না। ৬৪টি জেলায় সিনেপ্লেক্স করতে গিয়ে সরকার কোথায় ইনভেস্ট করবে কীভাবে টাকাটা ফেরত আসবে এটা তো সঠিকভাবে বলতে হবে সরকারকে। এটি কিন্তু এখনো সরকারকে বুঝিয়ে বলতে পারেনি প্রদর্শকরা। তাই সরকারও বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারছে না।

 

শোবিজ স্পেশাল আড্ডায়  অভিনেতা-নির্মাতা আলমগীর

এখনকার শিল্পীদের কপাল খারাপ

বর্তমান সময়ের শিল্পীরা কেন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না? সবাই যে খারাপ তা তো বলা যাবে না। আমরা শেষ ভরসা হিসেবে শাকিব খানকে পেয়েছি। শাকিবের পর যারা আছে তাদের সম্পর্কে খুব একটা জানি না। তবে যেহেতু আমি চলচ্চিত্র জুরি বোর্ডের সদস্য তাই এদের কিছু ছবি আমার দেখা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে এরা খারাপ অভিনয় করে না। কিন্তু এদের কপাল খারাপ। কারণ ওরা দক্ষ পরিচালক পাচ্ছে না। কে ওদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেবে। চলচ্চিত্র কিন্তু একটা ডিরেক্টরনির্ভর শিল্প। ডিরেক্টর ইজ অ্যা ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ। ডিরেক্টরই জানেন তরকারিটা কীভাবে রান্না করতে হবে। সেই ধরনের দক্ষ পরিচালক তো তারা পাচ্ছে না। তারা যে খারাপ শিল্পী তা তো নয়। সঠিকভাবে গাইড পেলে এখান থেকে আরও কয়েকজন ভালো শিল্পী অবশ্যই বের হয়ে আসতে পারে।

 

এক জনমে অভিনেতা হওয়া যায় না

নির্মাণ এবং অভিনয়, কোনোটিই আমার কাছে কষ্টের নয়। তবে অভিনয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এগুলো হলো ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক। আমার নিজেকে অভিনেতা দাবি করতে খুব কষ্ট হয়। আমি নিজেকে অভিনেতা হিসেবে মূল্যায়ন করতে গেলে কোনো রকমে টেনে টুনে পাস মার্ক পাব। অভিনেতা দাবি করার মতো অবস্থা আমাদের দেশের কোনো শিল্পীর আছে কিনা জানি না। আমার তো নেই। অভিনয়ের বিশালতা এবং এর ব্যাপ্তি এত বড় যে তা একজনের পক্ষে এক জনমে ধারণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য হয়তো শত জনম লাগবে। সেটি তো পাব না। কারণ জনম তো একটিই।

নির্মাতা হিসেবে আমি কখনই হ্যাপি নই। হ্যাঁ, আমার নির্মিত ছবিগুলো হিট হয়েছে। আমি আরেকটি ছবি নির্মাণ করব। ছবি হিট হবে এমন আশা নিয়ে নির্মাণ করি না। এবারের ছবিটি হবে আন্তর্জাতিক মানের। চলতি বছরের শেষ দিকেই ছবিটির কাজ শুরু হবে।

 

অর্থ নয়, কাজের পেছনে ছুটতে হবে

নতুন প্রজন্মকে বলব তোমরা সাধনা কর। চলচ্চিত্রকে আগে ভালোবাসো আর নিজের মধ্যে ধারণ কর। চলচ্চিত্র এমন একটি জায়গা যেখানে অর্থের পেছনে ছুটলে নিজে এবং চলচ্চিত্র ধংস হবে। আর চলচ্চিত্রকে সাধনা ও ভালোবাসা দিয়ে ধারণ করলে অর্থ তোমাদের  পেছনে ছুটবে। এতে তোমাদের ও চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হবে।

 

অবশেষে বিদায়ের ক্ষণ...

দীর্ঘ আলাপচারিতার এক পর্যায়ে সূর্য গড়িয়ে শেষ বেলার সংকেত জানাল। বিদায় নিয়ে রাজপথে নামলাম। তখনো চোখে-মুখে মেখে আছে আমাদের চলচ্চিত্র আকাশের উজ্জ্বল তারকা আলমগীরের আলো। যে আলো কখনো নিভে যাওয়ার নয়...।

সর্বশেষ খবর