বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জিম্বাবুয়ে আসছে নভেম্বরে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জিম্বাবুয়ে আসছে নভেম্বরে

দুপুর থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদকর্মীদের প্রতীক্ষা। অপেক্ষা বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভার জন্য। বেশকিছু স্পর্শকাতর বিষয় ছিল এজেন্ডায়। অবশ্যই প্রধান ইস্যু নিরাপত্তা। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করায় বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটাররা আসবে কিনা, কিংবা এই শিডিউলে অন্য কোনো দল বাংলাদেশে আসবে কিনা-এতসব বিষয় জানতেই সংবাদর্মীদের অপেক্ষা!

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন হাসতে হাসতে সংবাদ সম্মেলনে জানান আশার কথা, জানুয়ারিতে আসার কথা ছিল জিম্বাবুয়ের। এখন সফর এগিয়ে এনে নভেম্বরে আসছে। তবে শুরুতে টেস্ট খেলবে আফ্রিকান প্রতিনিধিরা। জানুয়ারিতে খেলবে ওয়ানডে সিরিজ। বিসিবি সভাপতির বিবৃতির পর শঙ্কার কালো মেঘটা কেটে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটের ওপর থেকে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দল সফর স্থগিত করায় বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের মনে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। নিরাপত্তার অজুহাতে অন্য দলগুলোও বাংলাদেশ সফর বাতিল করে কিনা। সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল নিয়ে কিছু বলা না হলেও এক সূত্রে জানা যায়, বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা খেলতে আসবে বাংলাদেশে। ক্রিস গেইলও সম্মতি জানিয়েছেন নাকি।

নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে না আসার বিষয়টি নাকি একেবারেই ক্রিকেটের বাইরের ঘটনা। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা-আইসিসি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই সফরের পক্ষে আছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে দলকে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে একটা সতর্কতা ছিল। তাছাড়া এখানে দুটি ঘটনাও (দুই বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু) ঘটে গেছে এই সময়ের মধ্যে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আসবে অস্ট্রেলিয়া। সেটা খুব দ্রুতই হতে পারে। এমনকি দুই সপ্তাহ পরেও হতে পারে।’

তারপরেও আইসিসির পরবর্তী সভায় নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ট্রেলিয়ার সফর বাতিলের প্রসঙ্গে কথা বলবেন বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে (অস্ট্রেলিয়া) যে নিরাপত্তা প্ল্যান দেখিয়েছি, এমন নিরাপত্তা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিকে ক্রিকেট খেলা সম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি, এটা কোনো ক্রমেই না খেলার মতো পরিস্থিতি নয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি আইসিসি সভায় কথা বলবো। আশা করি, ৯০ ভাগ সমর্থন আমরা পাব।

আইসিসির পরবর্তী সভা ৯ ও ১০ অক্টোবর। এই সভায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা টেস্ট ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত করা হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ যাতে বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারে- তা নিয়েও কথা বলবেন বোর্ড সভাপতি।

গতকালকের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে আবারও পেসার হান্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। এর মাধ্যমের সারা দেশ থেকে পেসারদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এর আগেও পেসার হান্ট হয়েছিল। যার ফলে রুবেল হোসেনের মতো তারকা পেসার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে।

ইনডোরে প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিকমানের সব সুযোগ সুবিধা রাখা হবে। বিশেষ করে, অস্ট্রেলিয়ার ‘ব্রিসবেন সেন্টার অব এক্সিলেন্সে’র মতো কিংবা তার চেয়েও ভালো মানের পিচ তৈরি করা হবে। এ সম্পর্কে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভালো করার কারণ প্রধান হচ্ছে, ব্রিসবেন এক্সিলেন্স ক্রিকেটারদের অনুশীলন করা। এটা আমাকে কোচ বলেছেন।’

এছাড়া গতকালকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচক, আম্পায়ার্স প্যানেল, মহিলা দলের কোচ এবং ডেভেলমেন্টের কোচদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর