সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শেষ চারে ঢাকা মোহামেডান

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

শেষ চারে ঢাকা মোহামেডান

‘সকালের সূর্য দেখলেই দিনটা কেমন যায় তা বুঝা যায়’ এ প্রবাদ বাক্যটা সব সময় সঠিক হয় না তা প্রমাণ করল ডি স্প্রিঙ্গার বাজান। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে থেকে পর পর তিন গোল করে অসাধারণ ম্যাচ জিতে নেয় স্প্রিঙ্গার বাজান। শুধু তাই নয় এ জয়ের ফলে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে আফগানের এ ক্লাব।  এদিকে, সন্ধ্যায় ‘এ’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান ২-১ গোলে কলকাতা মোহামেডানকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয়। বিজয়ী দলের পিটার ২টি ও বিজিত পক্ষের খাদেম গোলগুলো করেন।

প্রথম ম্যাচে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে ডি স্প্রিঙ্গার বাজানের চাই ড্র আর সলিড এসসি’র জয়। শুরু থেকে রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে আগের টুর্নামেন্টে দু ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র করা ডি স্প্রিঙ্গার। কিন্তু বিপরীত চিত্র ছিল সলিড এসসি’র। ওলায়েমির নেতৃত্বে সডিডের খেলোয়াড়রা ডি স্প্রিঙ্গারের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ১১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে সলিডের। ডি বক্সের বাইরে থেকে শোলার নেওয়া ফ্রি কিক ক্রস বারে লাগলে গোল বঞ্চিত হয় সলিড। ২৫ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ওলায়েমি। ডি বক্সের মধ্যে গোলের সহজ সুযোগ পেলেও তিনি বল তুলে দেন স্প্রিঙ্গারের গোলরক্ষক ইয়াসিন জাফরের হাতে। এরপর একাধিক আক্রমণ হলেও গোল হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে এগিয়ে যায় সলিড। মধ্যমাঠ থেকে সলিডের ওলায়েমি দু ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে অসাধারণ গোল করে সলিডকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়। বিরতির দু মিনিট পর আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় সলিড। ওলায়েমির নেওয়া শট ডি স্প্রিঙ্গারের একজন ডিফেন্ডার কোনো রকমে ঠেকিয়ে গোল বঞ্চিত করে সলিডকে। ৫৮ মিনিটে ম্যাচে ঘটে ফুটবলের বিরল এক দৃশ্য।  ডি স্প্রিঙ্গারের এক খেলোয়াড়কে অবৈধ বাধা দেওয়ায়  সলিডের ডিফেন্ডার ডেনিয়েলকে লাল কার্ড দেখায় রেফারি। কিন্তু তার আগেই অফ-সাইডের সংকেত দেন সহকারী রেফারি। পরে রেফারিরা আলোচনা করে ডেনিয়েলের লাল কার্ড প্রত্যাহার করে। এরপর থেকে নিজেদের স্বরূপে ফিরতে থাকে ডি স্প্রিঙ্গার বাজান। ৭২ মিনিটে ডি স্প্রিঙ্গারকে সমতায় ১-১ ফেরায় মোস্তাফা আফসারী। সতীর্থ আনোয়ার আকবারির কাছ থেকে বল পেয়ে সলিডের জালে জড়াতে ভুল করেনি তিনি। ৭৫ মিনিটে রেজা ইয়ারির ফ্রি কিক সাইড বারের লাগলে এগিয়ে যাওয়া সুযোগ মিস করলেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ডি স্প্রিঙ্গারকে। দু মিনিট পরেই বদলি খেলোয়াড় রেজা ইয়ারির গোলে ২-১ এগিয়ে যায়। দলের শেষ গোলটি করেন গোলাম হযরত। সেমিফাইনালে ঢাকা মোহামেডান ইস্টবেঙ্গল ও চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে বাজানের বিপক্ষে। সতীর্থ ফারদিনের কাছে থেকে বল পেয়েই মুহূর্তেই তা জড়িয়ে দেয় জালে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সলিডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ডি স্প্রিঙ্গার অধিনায়ক গোলাম হযরত।   ডি বক্সের বল পেয়ে ব্যবধান ১-৩ করেন গোলাম     হযরত। সারা ম্যাচ অসাধারণ খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ    হন সায়েদ মোহাম্মদ হাসেমী।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর