শিরোনাম
শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

স্পিনে ধরাশায়ী করতে চান নান্নু

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিনে ধরাশায়ী করতে চান নান্নু

জিম্বাবুয়ের কোনো সিরিজের উল্লেখ ছিল না এফটিপিতে। অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত করায় ভাগ্য খুলে যায় আফ্রিকান দেশটির। খালি জায়গাটি পূরণ করতে বিসিবি আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়েকে। খেলতে রাজি হয় দলটি। তিন টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলতে ২ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজটিকে সামনে রেখে প্রাথমিক একটি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেই দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন ডান হাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। দলটি ঢাকায় আসছে আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের ধাক্কা নিয়ে। ফলে জিম্বাবুয়ের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। তারপরও দলটিকে হালকাভাবে দেখতে চাইছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। স্পিন আক্রমণ দিয়ে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান নির্বাচক নান্নু। 

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বরাবরই পারফরম্যান্স ভালো বাংলাদেশের। ২০১৪ সালে হারতে হারতে যখন খাদে এসে পড়েছিল টাইগাররা, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে জয়ের ট্রাকে উঠে আসেন মাশরাফি, মুশফিকরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে প্রথমবার। ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে। সিরিজ জিতে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তিন-তিনটি পরাশক্তির বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতায় মাশরাফিদের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশচুম্বী। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার আতিথেয়তা দিচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। পারফরম্যান্সের বিচারে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে ফেবারিট টাইগাররা। তার ওপর আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরে এখন পথহারা জিম্বাবুয়ে। এমন দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতা স্বাভাবিক- এটা ভালো করেই জানেন নান্নু। অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট বলে হালকাভাবে নিতে চাইছেন না জিম্বাবুয়েকে, ‘সিরিজটি অবশ্যই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন ধরে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি না। বিপরীতে জিম্বাবুয়ে ঘরের মাঠে ক্রিকেট খেলছে। সে জন্যই বলছি সিরিজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন ক্রিকেটাররা। এ জন্যই আমি আশাবাদী সিরিজ নিয়ে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের কাছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জিম্বাবুয়ে। সব মিলিয়ে ভালো করব বলেই বিশ্বাস।’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৪ ওয়ানডেতে জয়ের পাল্লা হেলে আছে বাংলাদেশের দিকে। ৩৬টি ম্যাচ জিতেছেন মাশরাফিরা। বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয় ২৮।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সর্বশেষ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে গত ডিসেম্বরে। দুই বিভাগেই হোয়াইটওয়াশ করে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের। সিরিজটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল স্পিন দাপটে। এবারও সেই রণকৌশল সাজাতে চাইছেন নির্বাচক নান্নু, ‘ঘরের মাঠে আমরা সব সময়ই স্পিনের ওপর নির্ভর করি। স্পিনার দিয়েই প্রতিপক্ষ বধের পরিকল্পনা থাকে আমাদের। এবারও এর বাইরে যাব না। উইকেট একটু ধীরলয়ের হলে আমাদের জন্য ভালো।’

ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন রাব্বি। বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেছেন আল আমিন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ইনজুরির জন্য নেই রুবেল হোসেন। এমন পেস অ্যাটাক নিয়েই জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। পেসারদের এমন শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচক নান্নু, ‘গত চার-পাঁচ মাস ধরে আমরা পেসারদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। শতভাগ ফিট পেসারদের সংখ্যা খুব বেশি নেই। ছয়জন পুরোপুরি খেলার মতো ফিট। এমন অবস্থা নিয়েই আমাদের খেলতে হবে।’

গত বছর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই সংকীর্ণ পথ ছেড়ে মসৃণ পথে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। এবার ফের এগিয়ে যাওয়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের। এখন সেই সুযোগটাকে কে কাজে লাগায়, সেটাই দেখার বিষয়।

সর্বশেষ খবর