মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাকিব যে কারণে ব্যতিক্রম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব যে কারণে ব্যতিক্রম

অনুশীলনে ফুটবল খেলে গা গরম করছেন সাকিব, নাসির, সাব্বিররা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

স্ত্রীর সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এসেছে, তাই সিরিজ রেখে দেশে উড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন ‘জিমন্যাস্ট’ ক্রিকেটার ভিলিয়ার্স। অন্যদিকে সাকিব সত্যিই ব্যতিক্রম। স্ত্রী সন্তানসম্ভাব্য, অবস্থান করছেন আমেরিকায়। এই সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকাই একমাত্র কর্তব্য। স্ত্রীও চান প্রিয় মানুষটি পাশে থাকুক। কিন্তু দেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করলেন সাকিবের স্ত্রী শিশির। অনুরোধ করলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে অংশ নিতে সাকিব যেন দেশে ফিরে যান। প্রিয় স্ত্রীর অনুরোধ; তাই সবকিছু উপেক্ষা করে সাকিব ফিরেন দেশে। যোগ দেন অনুশীলনে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। কাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার স্পষ্ট করেই জানান, স্ত্রীর অুনরোধেই দেশে ফিরেছেন সিরিজ খেলতে।

কাল সন্ধ্যায় তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে ঢাকা পা রাখে জিম্বাবুয়ে। এল্টন চিগুম্বুরাদের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে দুদিন আগে আমেরিকা থেকে ঢাকায় পা রাখেন সাকিব। ঢাকায় ফেরার পরের দিন যোগ দেন অনুশীলনে। কাল অনুশীলন করেন পূর্ণোদ্যমে। অথচ জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয় তিন সপ্তাহ আগে। দীর্ঘ দিনের ব্যবধানে অনুশীলনে যোগ দেওয়াতে খুব বেশি সমস্যা ভাবছেন না সাকিব, ‘জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। আমি মাত্র যোগ দিয়েছি। আশা করি এই গ্যাপ কোনো সমস্যা করবে না।’ স্ত্রীর এমন শারীরিক অবস্থায় সিরিজে না খেলার সম্ভাবনা ছিল সাকিবের। দেশে খেলা হবে, অথচ খেলতে পারবেন না ‘প্রিয় মানুষটি’ মানতে পারেনি স্ত্রী শিশির। তাই অনুরোধ করেন দেশে ফিরে যেতে। কাল অনুশীলন শেষে এমনটিই বলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘স্ত্রীকে সাহায্য করাই ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ও-ই আমাকে আসতে বলেছে। বলেছে খুব বেশি প্রয়োজন হলে ফিরে যেতে। ওর বলাতেই আমার এখানে আসা।’

সিরিজ শুরু ৭ নভেম্বর। ৯ ও ১১ নভেম্বর বাকি দুটি ওয়ানডে। দুটি টি-২০ ম্যাচ ১৩ ও ১৫ নভেম্বর। যদি জরুরি প্রয়োজন হয়, তাহলে এক-দুটি ম্যাচ খেলেই স্ত্রীর সাহায্যে ফিরে যাবেন আমেরিকায়। এটা জানাতেও ভুল করেননি সাকিব, ‘সিরিজ খেলা নিয়ে উত্তেজিত। তার উপর বাবা হওয়া। সব মিলিয়ে উত্তেজনার মাত্রাটা হয়তো বেশি। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে এক-দুটি ম্যাচ বাদ দিতে হতে পারে। সেটা অবশ্য নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।’ যদি অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত না করতো, তাহলে এখন খেলারই কথা ছিল সাকিবসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে সফর স্থগিত করায় খেলাশূন্য থাকার কথা ছিল ক্রিকেটারদের। কিন্তু বিসিবির আগ্রহেই খেলতে আসে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে আসাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক লাভ হয়েছে বলেন সাকিব, ‘এই সিরিজ হওয়াটা অনেক ভালো। একটি সিরিজ স্থগিত হওয়ার পর জিম্বাবুয়ে এসে আমাদের অনেক সাহায্য করলো। আমার বিশ্বাস, ক্রিকেট নিয়ে আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হবে না।’

বিপিএলে এবার খেলবেন রংপুর রাইডার্সের ‘আইকন’ ক্রিকেটার হিসেবে। অন্তর্ভুক্ত করায় ধন্যবাদ জানান রংপুরকে। বিপিএল আকর্ষণীয় হলেও সাকিবের ভাবনায় এখন শুধুই জিম্বাবুয়ে সিরিজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর