সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ফুটবলাররা

এমিলির বিশ্লেষণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ফুটবলাররা

‘বিশ্বাস করুন, কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না এমন ফল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সান্ত্বনা খুঁজেছিলাম আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে ভেবে। কিন্তু মালদ্বীপের কাছে হার আমার অবিশ্বাস্য লাগছে। আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের অন্যতম বাজে একটি দিন’— মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে হারের পর এমনটাই বলেন দেশসেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি। ইনজুরির জন্য এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে কেরালা যাননি তিনি। দলের পারফরম্যান্সে যতটা ব্যথাতুর, ঠিক ততটাই ব্যথিত কোচ মারুফুল হক ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায়। অবশ্য বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ফুটবলারদের দায়িত্বহীনতাকে দুষেছেন এমিলি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নেমেছিল অপরাজয়ের রেকর্ড নিয়ে। পাঁচ বছর আগে বড় জয়ের রেকর্ডও ছিল। এমন রেকর্ড যে দলের বিপক্ষে, তাদের কাছেই কিনা নাস্তানাবুদ! ৪-০ গোলে হার। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে এমন লজ্জার হারেও ভেঙে পড়েননি এমিলি। মালদ্বীপ ম্যাচটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ ভেবেছিলেন দেশসেরা স্ট্রাইকার, ‘আফগানিস্তানের কাছে হারের পরও আমি আশাবাদী ছিলাম। আমাদের যে দল, বিশ্বাস ছিল মালদ্বীপকে হারাতে পারব। কিন্তু পারিনি। আমি কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না এত বড় ব্যবধানে হেরে যাব।’ মালদ্বীপ ম্যাচে বাংলাদেশের ফুটবলাররা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলেই এমন লজ্জাজনক হার বললেন এমিলি, ‘ম্যাচে সমতা আসার পর রক্ষণভাগের ফুটবলাররা কেন আক্রমণে গেল, আমার মাথায় আসছে না। এ জন্যই আমরা শেষ চার মিনিটে ২ গোল খেয়েছি। ফিফটি ফিফটি ম্যাচে গোলরক্ষককে অবশ্যই আলাদা দায়িত্ব পালন করতে হয়।’ বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস বলে, শেষ পাঁচ মিনিটে গোল খাওয়ার বহু রেকর্ড রয়েছে। মালদ্বীপ ম্যাচে সেই রেকর্ডটিকে আরও দীর্ঘ করল। শেষ দিকে গোল খাওয়ার জন্য ফিটনেসকে দায়ী করেন এমিলি, ‘ফিটনেস না থাকলে ম্যাচ থেকে মনোযোগ সরে যায়। ভুল করতে থাকে অহরহ। মালদ্বীপ ম্যাচে তাই হয়েছে।’

দুই ম্যাচে ৭ (৪+৩) গোল; সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এমন রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। এবার তাই হলো। দলের ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে চুক্তি আর নবায়ন করতে রাজি নন কোচ মারুফ। কোচের এই সিদ্ধান্তে অবাক নন এমিলি, ‘ক্যাম্প শুরুর আগেই মারুফ ভাই বলেছিলেন, সাফে ভালো করলেই জাতীয় দল নিয়ে ভাববেন। ব্যর্থ হলে সরে দাঁড়াবেন। তাই হয়েছে। আমি অবাক হইনি। তবে মারুফ ভাইকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল ক্রুইফের বিদায়ের পর। তাতে পারফরম্যান্স ভালো হতো আরও।’ মামুনুল সরে দাঁড়ানোয় কষ্ট পেয়েছেন এমিলি, ‘মামুনুল আমার ভালো বন্ধু। আমি জানি সে কতটা কষ্ট পেয়েছে। সহ্য করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় সে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর