সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদায় ব্রাদার্স সেমিতে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিদায় ব্রাদার্স সেমিতে আবাহনী

ফেডারেশন কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ও ব্রাদার্স ম্যাচের উত্তেজনার মুহূর্ত —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফেডারেশন কাপে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দল মোহামেডান ও টপ ফেবারিট চট্টগ্রাম আবাহনী গ্রুপ পর্ব খেলে বিদায় নিয়েছে। ২ গোলে এগিয়ে থেকেও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের। টিকে আছে আট বারের কাপ জয়ী ঢাকা আবাহনী। ভাগ্যের জোরে শেষ আটে ঠাঁই পেয়েছিল তারা। এখন রীতিমতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে। গতকাল তারা কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত করেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের ফলাফল ২-১।

আগের দুই কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি হয়নি। আরামবাগ টাইব্রেকারে, অতিরিক্ত সময়ে জিতে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। গতকালকের ম্যাচে শক্তির বিচারে ঢাকা আবাহনীই ছিল ফেবারিট। তারপরও ম্যাচে কে জিতবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিল না। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই আরামবাগের কাছে হেরে আবাহনীর টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফেনী সকারের বিরুদ্ধে ঘাম ঝরানো জয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে ব্রাদার্সের খেলা ছিল গতিময় ও ছন্দময়। উত্তর বারিধারা ও শেখ জামালকে হারিয়ে গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠে। গতকালও ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল ব্রাদার্স। প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত কুলিয়ে উঠতে পারেনি। ২-১ গোলে হেরে বিদায়ের খাতায় নাম লেখাতে হয়েছে গোপীবাগের দলটিকে।

পরিসংখ্যানের বিচারে আবাহনী বরাবরই ফেবারিট। তবু দুই দলের লড়াইয়ে আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। তৃতীয়, দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাজিক ফুটবল প্রদর্শন করে ১৯৭৫ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে অভিষেক হয় ব্রাদার্স ইউনিয়নের। তরুণ আর অচেনা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া এই দল প্রথম ম্যাচেই তারকাভরা আবাহনীকে হারিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তোলে। সেই শুরু। ১৯৮০ সালে ফেডারেশন কাপে প্রথম আসরেও আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ব্রাদার্স। মোহামেডানের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দুই দলের লড়াই মানে আলাদা এক উত্তেজনা। প্রায় দর্শক শূন্য গ্যালারি থাকলেও কালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আবাহনীর দুই গোলেই জোর আপত্তি জানিয়ে ছিল ব্রাদার্সের খেলোয়াড়রা। প্রথমটা হ্যান্ডবল, দ্বিতীয়টা গোল লাইন ক্রস না করার দাবিতে। রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। একটু উত্তেজিত হয়ে ব্রাদার্স মাঠে ফিরে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ম্যাচটি শেষ হয়।

প্রথমার্ধে ব্রাদার্সের পায়ে বল বেশি থাকলেও কাউন্টার অ্যাটাকে প্রথম দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আবাহনীই। সানডে ও তরুণ জীবন বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় ব্রাদার্সের জালে বল জড়াতে পারেনি। ১০ মিনিটেও সুযোগ আসে, এবারও মিস্। দুই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় আবাহনী কিছুটা এলোমেলো হয়ে পড়ে। আর সুযোগ কাজে লাগায় ব্রাদার্স। তাদের আক্রমণে পরিকল্পনার ছাপ ছিল। ২৭ মিনিটে ওয়ালসনের নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল।

৩৫ মিনিটে তাকে আর ঠেকানো যায়নি। শফিকুলের চিপে বল পান ওয়ালসন। মাটিতে পড়ার আগে ভলি মেরে বল জালে পাঠান হাইতিয়ান এ ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। ৬৯ মিনিটে জুয়েল রানা আর ৮১ মিনিটে সানডের গোলে সেমিতে ওঠে যায় আবাহনী। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল।

সর্বশেষ খবর