ফুটবলে মোহামেডান-আবাহনীর জনপ্রিয়তা কারও অজানা নয়। কিন্তু অফিস দল হয়েও বিজেএমসির জনপ্রিয়তার কমতি ছিল না। স্বাধীনতার পর প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়নের কৃতিত্ব রয়েছে। ১৯৬৪ সালে আবির্ভাবের পর চারবার লিগ জেতার কৃতিত্ব রয়েছে তাদের। বর্তমান প্রজন্মের অনেকে হয়তো তা জানেন না। গতকাল ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুক্তিযোদ্ধাকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে তারা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ আরামবাগ। বিজেএমসির পরিচয় এখন দুর্বল বলেই। হবেই বা না কেন, ফুটবলে তারা হারিয়ে গিয়েছিল।
অ্যাথলেটিকস আর কাবাডি নিয়েই ব্যস্ত ছিল। সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয়ই এই দলটিকে নিয়ে আসে। ২০১২ সাল থেকে সরাসরি পেশাদার লিগ খেলছে তারা।
এমনিতেই গ্যালারিতে দর্শক নেই। তারপর আবার বড় ম্যাচ না থাকায় গতকালকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পুরোপুরি খালি। দর্শক না হোক, ম্যাচে উত্তেজনার কমতি ছিল না। জিতলেই সেমি আর হারলে বিদায়। দল যত ছোট হোক এমন ম্যাচে উত্তেজনা না থেকে কী পারে। ‘ডি’ গ্রুপে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান থাকলেও তাদেরকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা বা কম কিসে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হোক, তারা টপ ফেবারিট চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে নকআউট পর্বে ওঠে। সমমানের দল, লড়াইটা উপভোগ্য হবে এটাই ছিল ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা। তিনবার ফেডারেশন কাপ জেতার রেকর্ড আছে মুক্তিযোদ্ধার। অন্যদিকে একবার ফাইনাল খেলেছে টিম বিজেএমসি। শিরোপা জেতার স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে বিজেএমসি। গোলশূন্য অবস্থায় খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে এগুচ্ছিল তখনই গোল দিয়ে বিজেএমসির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন পারভেজ।